গভীর ভালোবাসার টানে সুখের সংসার করার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে দুই বছর আগে পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেন রিফাহ তাসফিয়া সালাম। তাসফিয়ার বয়স ২১ বছর। বিয়ের পরে অল্প দিন স্বামীর সংসারে ভালোই কেটেছিল তাসফিয়ার। তারপর আস্তে আস্তে আসল রূপ বেরিয়ে আসতে থাকে তার স্বামীর। যৌতুকসহ পান থেকে চুন খসে যাওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনায় তার ওপরে চলে শরীরিক নির্যাতন। এরই জেরে গতকাল সোমবারও তাসফিয়ার ওপরে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে তার স্বামী এবং পরিবারের লোকজন।
এমন নির্যাতনে তাসফিয়ার শরীরের বাম পায়ের দুই জায়গায়, বাম হাতের দুই জায়গায়, ডান হাতের এক জায়গায়, বুকের পাঁজরের দুইটি হাড় ভেঙে গেছে। তাছাড়াও মাথায় পড়েছে ১৭টি সেলাই। এমন নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তাসফিয়া। এই ঘটনায় তাসফিয়ার মা হোসনে আরা পারভীন বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলা অভিযোগে জানা যায়, বছর দুই আগে নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে শামিউল হক সোহাগের সঙ্গে রিফাহ তাসফিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের অল্প দিন পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী সোহাগ প্রায় সময় মারপিট করতো তাসফিয়াকে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে এক লাখ ৫০ হাজার টাকাও দেয়া হয় সোহাগকে। তবে এরপরেও নির্যাতন থেমে যায়নি। সোমবার বিকেলে সোহাগ, সোহাগের মা জাহানারা বেগম সুজি, ভাই ফয়সাল, বাবা ফজলুল হক এবং সজিব মিলে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তাসফিয়াকে। ফলে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে স্থানীয় লোকজন সংবাদ দিলে তাসফিয়ার চাচা মীর আবু সাইদ শিমুলসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে মঙ্গলবার তাকে রামেক হাসপাতালের ওয়াস স্টপ ক্রাইসেস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তাসফিয়ার মামা ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, তার ভাগ্নির ছয় মাসের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। ঐ শিশুটির কারণে ছোটখাটো নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে তারা চুপ থাকতেন। ভাগ্নি জামাইকে বোঝানোর চেষ্টা করতেন। তবে এবার ভাগ্নির ওপরে পাশবিক নির্যাতন চা