সময় বাঁচাতে দৈনন্দিন যাতায়াতে সময়োপযোগী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক পরিবহন সেবার দিকে ঝুঁকছে নগরবাসী। অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক এ পরিবহন সেবা দিচ্ছে বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠান। জরুরি দরকারে নগরবাসী পেয়ে যাচ্ছেন উবার’র মতো অনলাইনের মোটরসাইকেল সেবা।
তবে এতে কমছে প্রচলিত ট্যাক্সিক্যাব-সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী।যানবাহনে ঠাসা ঢাকার রাস্তায় চার চাকার গাড়ি স্থির বসে থাকলেও থেমে থাকে না অনলাইনভিত্তিক যাত্রীসেবার দু’চাকার মোটরবাইক। কেবল স্মার্টফোনের অ্যাপসের মাধ্যমে অনুরোধ পাঠালেই মেলে গন্তব্যে পৌঁছনোর বাহন।‘পাঠাও’ ইতোমধ্যেই ঢাকাবাসীর কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
একজন বাইক চালক বলেন, ডেসটিনেশনে যত কিলোমিটার আসবে তার ওপর ১২টাকা চার্জ করা হয়।একজন যাত্রী বলেন, এ ধরনের সার্ভিস ঢাকা শহরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত করার ক্ষেত্রে খুবই ভালো।অনলাইনে যাত্রীসেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ‘আমার বাইক’র সিইও নাভিল মোস্তাফা বললেন, শুরুতে আমরা বুঝতে পারিনি এটার এত চাহিদা থাকবে।
আমরা একটি অ্যাপ প্রস্তুত করছি। এটি প্রস্তুত হয়ে গেলে আমাদের সার্ভিসটা পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে।‘আমার বাইক’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বললেন, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা আমাদের সার্ভিস বেশি ব্যবহার করে থাকেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আমরা সার্ভিস দিয়ে থাকি।বিডি গ্র্যাববাইক পরিচালক গোলাম মোস্তফা সোহাগ বললেন, আমরা হিসেব করে দেখেছি কেউ যদি মিরপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে চায় তাহলে আমাদের সার্ভিস নেয়, তবে তার দু’ থেকে তিন ঘণ্টা সময় বেঁচে যাবে।
অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন পরিবহনসেবা জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় দুঃসময় শুরু হয়েছে হলুদ রঙের ট্যাক্সিক্যাব ও সিএনজি অটোরিকশা চালকদের। যাত্রীর অপেক্ষায় দিনের বেশিরভাগ অলস সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।একজন সিএনজি চালক বললেন, উবার’র ভাড়া আর সিএনজির ভাড়া একই।
একটু কম-বেশি। একই ভাড়ায় কেউ সিএনজিতে ওঠে নাকি?একজন ট্যাক্সি চালক বললেন, যারা অনলাইন যাত্রীসেবা দিচ্ছেন, তাদের কি নিজেদের গাড়ি আছে? তারা অন্যের গাড়ি নিয়ে ব্যবসা করে। তারা কি সরকার ও বিআরটিএ’কে ট্যাক্স দেয়। অথচ আমরা লিগ্যাল হয়েও যাত্রী পাচ্ছি না।
বহুজাতিক কোম্পানি উবার’র আদলে গড়ে ওঠা দেশীয় পরিবহন সেবার এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস’স-বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।
উবার’র যেসব ত্রুটি আছে সেসব দূর করতে হবে।অ্যাপভিত্তিক এসব পরিবহন সেবা খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও, এগুলোর সেবার মান ঠিক রাখা এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর তদারকির দাবি যাত্রীদের।https://pathao.com/
https://www.uber.com/