অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত একক নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা হবে বলে জানিয়েছেন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘ভিশন ২০৩০’ শীর্ষক ভবিষ্যৎ সরকার পরিচালনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। এ রূপ ব্যবস্থা সংসদীয় সরকার পদ্ধতির স্বীকৃতি রীতির পরিপন্থী। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোর অভিজ্ঞতায় দেশবাসী গভীরভাবে উপলব্ধি করছে যে, প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে। এ রূপ অবস্থার অবসানকল্পে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের পঞ্চদশ ও ষষ্ঠদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোট ব্যবস্থা বাতিল, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল, সংসদ বহাল রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান প্রবর্তন, সংবিধানের কিছু নির্ধারিত বিষয় সংযোজন, পরিবর্তন-প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ, কিংবা অন্য কোনো পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য করার বিধান প্রবর্তন, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অভিসংশনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্তকরণের বিধানসহ কয়েকটি অগণতান্ত্রিক বিধান প্রণয়ন করেছে। বিএনপি এসব বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক বিধানাবলি পর্যালোচনা ও পুনঃপরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার করবে।’
বিএনপিপ্রধান বলেন, জাতীয় সংসদকে সকল জাতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে। জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি এবং পাবলিক আন্ডারটেকিংস কমিটির সভাপতিত্ব বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর অর্পণ করা হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে জাতিকে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ জন্য সুনীতি, সুশাসন এবং সু-সরকারের (৩জি) সমন্বয় ঘটাবে বিএনপি।