অনলাইন ডেস্কঃ
সিলেটের জৈন্তাপুরে উপজেলায় মা-মেয়েকে ধর্ষণ এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা প্রচারের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন এক যুবক।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমীন কানন মিলা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জৈন্তাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। দুই মামলার একমাত্র আসামি নিমার আহমদ (২৬)।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আসামি নিমারকে কারাগারে এবং ধর্ষণের শিকার মা-মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট শারমীন কানন মিলা।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ভাই বলেন, তাঁর বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন নিমার। এ অজুহাতে তিনি তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জৈন্তাপুরের দরবস্ত বাজার থেকে নিমারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিবেশী রিকশাচালকের স্ত্রী ও মেয়েকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন নিমার। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় নিমারকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন মা-মেয়ের এক স্বজন। নিমারের কাছ থেকে উদ্ধার করা ভিডিওচিত্র সংবলিত মোবাইল ফোন ও মেমোরি কার্ড আদালতে উপস্থাপন করেছে পুলিশ।