আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখা থেকে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড (হিরা) জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ওই প্রতিষ্ঠান।
আগামী ২৩ মে আবারও আপন জুয়েলার্সকে তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
আজ বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ, গোলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, ‘আমরা আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখা থেকে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণারংকার ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করেছি। এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ওই জুয়েলার্সের মালিকরা।’
মইনুল খান আরো বলেন, ‘ওই জুয়েলার্সের মালিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান কাগজবিহীন এসব স্বর্ণালংকারের মধ্যে কিছু আছে গ্রাহকের। যার পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ কেজি হতে পারে। তাঁরা আজ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাঁরা সময় চেয়েছেন। আমরা আগামী ২৩ মে সকাল ১১টা পর্যন্ত সময় দিয়েছি। ওইদিন সশরীরে এসে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো অবৈধ জিনিসপত্র নেই। সব বৈধ জিনিস।’ তিনি আরো বলেন,‘তাৎক্ষণিকভাবে কেউ কখনো কাগজপত্র দেখাতে পারে? আমরা কাগজ দেখাব। আমাদের উকিল আছে। আমরা সব নোট করব। আমরা ভ্যাট দেই, ট্যাক্স দেই।’
দিলদার আরো বলেন, ‘দেশে এখন রিসাইকেলিং করেই স্বর্ণের ব্যবসা চলছে। আমি যেভাবে ব্যবসা করি সারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সেভাবে ব্যবসা করে। যদি আমার দোকান বন্ধ করা হয় তাহলে সারা বাংলাদেশের ব্যবসা বন্ধ করা উচিত।’
গত ৬ মে বনানী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।