গাইবান্ধা থেকে শেখ হুমায়ুন হক্কানী ঃ খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের স্থিতিশীল রাখার দাবীতে শনিবার ডিবি
রোডে এক মানববন্ধনের কর্মসূচী পালন করে। জনউদ্যোগ এই কর্মসূচীর
আয়োজন করে।
মানবন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি কেন্দ্রীয়
কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বাংলাদেশের
কমিউনিস্ট পাটি গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির
প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, গাইবান্ধা নাগরিক পরিষদের আহবায়ক
অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব ও অবলম্বনের
নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি
আমাতুর নুর ছড়া, সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ, অ্যাড. শাহ নেওয়াজ,
অঞ্জলী রানী, অ্যাড. জিএস আলমগীর, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী, দলিত নেতা
রাজেশ বাশফোর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কিছু অসাধু চক্র বাজারে আম, জাম সহ বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যে
ফরমালিনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে বিষ খাদ্য গ্রহণে মানুষকে
বাধ্য করছে। বিভিন্ন ভোজ্য তেলে ভেজাল, গুড়া মসলা, গুড়া হলুদ ইত্যাদিতে
বিভিন্ন ক্ষতিকর ভেজাল দ্রব্য মিসিয়ে বাজারজাত করছে এবং শাকসবজিতে
রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে বিষক্রিয়া করছে। যার কারণে কার্বাইট ও ফরমালিন
যুক্ত খাবার থেকে ভোক্তারা আক্রান্ত হন, গ্যাষ্ট্রিক, আলসার, পাকস্থলী ও
অন্ত্রনালী প্রদাহ, ক্ষুধামন্দা, লিভারসিরোসিস, কিডনী, ডায়াবেটিস,
হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ নানা রকম জটিল রোগ। এছাড়া এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে
পারে অস্থিমজ্জার উপর। এতে রক্তকণিকায় অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।
গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য বিষয়টি আর ভয়ংকর। কিছু অসাধু চক্র সারাদেশে
বাজারে নকল ও ভেজাল ঔষুধ বাজারজাত করছে। টিভি চ্যানেলে ও পত্র পত্রিকায়
এইসব খবর পরিবেশিত হলেও কোন প্রতিকার হচ্ছে না। বিভিন্ন নামী দামী
কোম্পানীর মোড়কে নকল ও ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী বাজারজাত করা হচ্ছে।
খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিতকারীদের চিহ্নিত করে
তাদের অবৈধ ও অন্যায় কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ
জরুরী এবং ভেজাল বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য সর্বস্তরের
জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
এছাড়াও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রতি বছর রমজান মাসে আগে অসাধু
ব্যবসায়ীরা খাদ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার মধ্য দিয়ে খাদ্য দ্রব্যসহ
নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের
মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।