সোহেল রানা,(হিলি) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় ইউপি যুবলীগের সভাপতি এবং হাকিমপুর
ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বদিউজ্জামান সুজন হত্যার ১০ মাস অতিবাহিত হলেও
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।এদিকে গত
বছরে ১৬ আগষ্ট নিজ গ্রামে ক্লাবের পুকুর সংস্কার করার সময় প্রতিপক্ষের
লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয় সুজনের।এই হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী রবিউল ইসলাম
আজও পলাতক রয়েছেন।জানা গেছে,হাকিমপুর উপজেলার বৈগ্রাম এলাকায় বৈগ্রাম যুব
ক্লাবের একটি পুকুর নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সাথে দীর্ঘ দিন ধরে
বিরোধ চলছিলো।গত বছর ৬ আগষ্ট ক্লাবের ঐ পুকুরের কুচুরিপানা পরিষ্কারের
কাজ দেখাশোনা করতে যান সুজন,এসময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শফিকুল ইসলাম ও
তার ভাড়াটিয়া লোকজন লাঠিশোটা নিয়ে সুজনের উপর এলোপাতারি ভাবে আঘাত করতে
থাকে,ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।তার মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ
এলাকাবাসী হত্যাকারীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভাংগচুর করে।পরে
হত্যাকারীরা পালিয়ে আত্তগোপনে যায়।ঘটনার পরের দিন সুজনের স্ত্রী মনিষা
সরকার বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সুজন হত্যাকারীদের ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষনা করেন উপজেলা আওয়ামী
যুবলীগ।হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত ১৬ জন আসামী আদালত থেকে জামিন
নেয়।এদিকে নিহত পরিবারের অভিযোগ,আসামীরা জামিনে এসে নিহতের পরিবার এবং
সাক্ষীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিচ্ছে।এদিকে আসামীরা নিহতের
পরিবার,সাক্ষী,গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে চুরি,ভাংচুরসহ ৪টি মামলা আদালতে দায়ের
করেন।এতে করে নিহতের পরিবার ও সাক্ষীরা নিরাপত্তা হীনতায় দিন কাটাচ্ছে।