হেলাল শেখ, সাভার ঢাকা ঃ
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার শিল্প এলাকায় বিভিন্ন হাট-বাজারে ও মার্কেটের দোকানে নিষিদ্ধ
পলিথিন অবাধে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার কারণে-
একদিকে সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার করায়
পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পলি ড্রেনে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাভার ও আশুলিয়ার শিল্প এলাকা বাইপাইল বাজার,
জিরানী, ভাদাইল বাজার, জামগড়া বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে অবাধে নিষিদ্ধ
পলিথিন বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রাইকারি ও খুচরা দোকানদার বলেন,
সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পলিথিন বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকেরই প্রশ্নঃ সরকার
নিষিদ্ধ করার পরও যেখানে- সেখানে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে কেন? মানুষ বাজার খরচ করার সময়
প্রায় ব্যক্তির হাতেই পলিথিন ব্যাগ দেখা যায় চোখে পড়ার মতো, এ যেন দেখার কেউ নই।
বিশেষ করে বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্র্মকর্র্তাগণ সোনালী দিন ফেরাতে পাটের তৈরি
ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করার জন্য সকলকে জানিয়েছেন। কিন্তু কথিপয় লোক সরকারি
আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ও নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি করে আসছে। বিশেষ করে
সারা বিশ্ধেসঢ়;¦ পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও তা বাংলাদেশে সকলের অবহেলা ও সচেতনতার অভাবে
সোনালী আঁশ পাট প্রায় বিলুুপ্তির পথে আজ। বিশেষ করে লেখক, কলামিস্ট, পরিবেশববাদী ও
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বলেন, মাদক যেমনঃ যুবসমাজকে নষ্ট করছে,
তেমনি পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে আনছে। অনেকেই বলছেন, যে জমিতে
পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য ফেলা হয়-সেই জমিতে ফসল হয় না।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জনাব মেহেদী হাসান বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিক
ব্যবহার করার কারণে রাস্তা ও ড্রেন নষ্ট করে পরিবেশ দূুষণ হচ্ছে। সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যারা আইন
মানছেন না-তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।