বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ঠাকুরগাঁওয়ের গর্ভবতী মায়েরা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭
  • ৪৪২ বার পড়া হয়েছে

আব্দুল আওয়াল,ঠাকুরগঁও প্রতিনিধি: নিরাপদ মাতৃত্ব প্রতিটি মায়ের অধিকার। সুস্থ-সবল শিশু দেশের অমূল্য সম্পদ। মায়ের গর্ভকালীন সুস্থতাই পারে একটি সুস্থ শিশু জন্ম দিতে। এর জন্য নিরাপদ মাতৃত্ব অপরিহার্য। গর্ভবতী মায়ের যেকোনো সময় জটিলতা দেখা দিতে পারে এই ব্যাপারটি পরিবারের জানা এবং সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু ঠাকুরগাঁও সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ার কারণে এখানে শিক্ষিত মানুষের হার খুবই কম। নিরাপদ মাতৃত্ব কাকে বলে সে বিষয়ে অসচেতন গর্ভবর্তী মা ও অভিভাবকরা।

জেলার অধিকাংশ নারীই এখনও উপরোক্ত অধিকার ও সেবা থেকে বঞ্চিত। আবার দেখা যায়, বিভ্রান্তি ও অজ্ঞতার কারণেও অনেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রহী হয় না। একদিকে অপ্রতুল চিকিৎসা সেবা অন্যদিকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজব্যবস্থা।

জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জরুরি প্রসূতি সেবা প্রদান, মিডওয়াইফারি কোর্স, গরিব ও দুস্থ মায়েদের জন্য মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম, কমিউনিটিভিত্তিক স্কিল্ড বার্থ অ্যাটেনডেন্ট প্রশিক্ষণ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি ও টিকাদান কর্মসূচি, ইপিআই-এ জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম থাকলেও সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারে না বলে অভিযোগ অনেক গর্ভবতী মা ও স্বজনের।

ঠাকুরগাঁওয়ে ৫৩টি ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা, ১৪৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১টি আধুনিক সদর হাসপাতাল, ১টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও ৪টি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স রয়েছে। কিন্তু এসকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নানা রকম গাফিলতির কারণে গর্ভবর্তী মায়েরা সঠিক মাতৃত্ব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অপরদিকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা দফতরের দাবি, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা ৭ হাজার ৪শ ৭২ জনকে সেবা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে স্বাভাবিক ডেলিভারি ২ হাজার ৯শ ৫১ জনের আর সিজিারিয়ান ডেলিভারি হয়েছে ৩ হাজার ৫ শ জনের। গর্ভজনিত জটিলতায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের ও অন্যান্য কারণে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪০৩ জনের।

কিন্তু এ সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারি সংকটের কারণে গর্ভবর্তী মায়েদের সঠিক সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

জেলার সচেতন মহলের প্রতিনিধিরা বলছেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সরকারের অঙ্গীকার ও টাকার অভাব নেই, অভাব আছে প্রতিশ্রুতি ও মনিটরিং ব্যবস্থার। তাই মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি সবাইকে কমিটমেন্ট নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার।

ঠাকুরগাঁও পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক তারিকুল ইসলাম জানান, সরকার মাতৃমৃত্যু হার কমানোর জন্য ইতোমধ্যে নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তিনি দাবি করেন, ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে জেলার ৯৫ ভাগ গর্ভবতী মা স্বাস্থ্য সেবার আওতায় রয়েছে। স্বাস্থ্য অবকাঠামো বাড়ানোর পাশাপাশি জনবল তৈরি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও ওষুধ সরবরাহ বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451