হেলাল শেখ,ঢাকাঃ
রাজধানী ঢাকাসহ প্রায় প্রতিটি জেলা শহর ও উপজেলা এবং গ্রাম পর্যায়ে মোবাইল ও ফেসবুব মাধ্যম ব্যবহার
করছেন বেশিরভাগ মানুষ। আর কথিপয় নারী পর্দা না করে রাস্তায় চলাফেরা করায় এবং সচেতনতার অভাবে ইভটিজিং ও
ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সচেতন মহলে। ‘নারীরা মায়ের জাতি’ আর সেই নারী যদি একবার
ধর্ষণের শিকার হন, সেই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে নারীর কন্না ও আতঙ্ক বয়ে বেড়াতে হয় সারা জীবন। কেউ কি বলতে
পারেন যে, নারীরা কেন ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন?
জানা গেছে, তথ্য মতে বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমনঃ বর্তমানে যেখানে-সেখানে, হাট-বাজারে, মার্কেটগুলোর
বিভিন্ন দোকানে কম দামে মোবাইল বিক্রি হচ্ছে, আর বেশিরভাগ মানুষ সেই মোবাইল ক্রয় করেন। আর মোবাইল
হাতে পেয়ে মানুষের ভালো কাজের চেয়ে খারাপ কাজ বেশি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে
দেখা যায়, বর্তমানে ছাত্র/ছাত্রী, কিশোর/কিশোরী ও যুবক/যুবতীসহ সব বয়সের নারী/পরুষের হাতে মোবাইল সেট,
আর সেই মোবাইলে মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ভাবে একজন অন্যজনের সঙ্গে পরিচয় আলাপ হচ্ছে। এরপর শুরু হয়
মিথ্যাচার, প্রেম ও ভালোবাসা এবং প্রতারণা করা, সেই সঙ্গে ডেটিং, ফিটিংবাজিসহ নানা অপকর্ম ও
অপরাধমমূলক কর্মকান্ড। অনেকেরই কৌশলে বিভিন্ন সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে নারীদেরকে ধর্ষণ করে। মোবাইলে
নানা রকম ভিডিও ধারণ করে একজন অন্যজনকে জিম্মি করে থাকে।
আজ থেকে ১০ বছর আগেও মানুষ চিঠিপত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন, খবর দেয়া নেয়া হত মানুষের মাধ্যমে এর
কারণে প্রমান রাখা যেত, এমন কি একজন মানুুষ অন্যজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে, দেখা করা ছাড়া কোনো
মাধ্যম ছিলো না, বর্তমানে মোবাইল বা ফেসবুক মাধ্যমে হয়ে মানুষের প্রয়োজনে এই ২টি মাধ্যমকে ব্যবহার
করা হচ্ছে। কথিত আছে যে, প্রেমিক/প্রেমিকা রাজি কিয়া করিবে কাজী ? নারীরা যদি অভিযোগ না করেন,
তাহলে পুলিশ প্রশাসন কি করে ওইসব ইভটিজিং ও ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করবে বলুনতো? বিশেষ করে দেশের শিল্প
এলাকাগুলোতে নারী শ্রমিক ৭৫%, আর সেই ৭৫ ভাগ নারীদের মাঝে অনেক সুুন্দরী নারী থাকায় পুরুষের নজরে পড়েন
তারা। এসব সুন্দরী নারীরা প্রতিদিন ইভটিজিং এর শিকার হন অফিসে যাওয়া আসার সময়ে। নারী পুরুষ পাশাপাশি
সিটে বসে বা দাড়িয়ে অফিসে এবং বাসায় যেতে হয়। আবার গভীর রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরতে অনেক
সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়।
বিশেষ করে বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রেমিক/প্রেমিকার বিয়ে হয় নামমাত্র। কিছু কাজীর
সহকারিরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নকল বিয়ে দিয়ে থাকেন! তাহলে বলুনতো এক হাতে কি তালিবাঁজে?
নারী পুরুষ বিয়ে না করে এক ঘরে থাকার অভিযোগও রয়েছে। এক বা দুই মাস সংসার করে নারী/পুরুষ স্বামী/ স্ত্রী
আলাদা হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এ ছাড়া নারীরা কেন ধর্ষণের শিকার হন বিষয়টি অন্যরকম বলে জানান অনেকেই।
এ বিষয়ে আরাফ নামের একজন বলেন, আমি অনেক বিচার সালিশ করেছি, এক দুই মাসের সংসার করে নারী পুরুষ
আলাদা হয়েছে এমন অনেক ঘটনার প্রমান আছে। আর টাকার বিনিময় দেহু ব্যবসা করেন অনেক নারী, টাকা না
পেলে ওই নারীই ধর্ষণ মামলা করেন। ধর্ষণ অনেক প্রকার হয়, ইভটিজিং- একটি সামাজিক ব্যাধি, আমাদের
সবাইকে সচেতন হওয়াটা জরুরি। অনেকেই বলেন, নারীরা পর্দা না করে রাস্তায় চলাফেরা করলে ইভটিজিং বা ধর্ষণের
শিকার হতে পারেন। নারীরা মায়ের জাতি, তাই নারীর সম্মান আমাদের সবার সমান। আসন আমরা সকলেই সচেতনতা
বৃদ্ধি করি, নিজে সচেততন হই, অন্যদেরকে সচেতন করার জন্য প্রচার ও প্রচারনা মাধ্যম ব্যবহার করি।