সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক মহিলা ও এক শিশুসহ আহত
অর্ধশতাধিক। গতকাল বুধবার (৩১মে,২০১৭ইং) বেলা সাড়ে বারোটায়
তাহিরপুর বাজারে দু-পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ বেধরক
লাটিপেটা ও ২০রাউন্ড গুলি ছুরেছে। সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত অবস্থা
মুজিবনুর (৪০),আব্দুল আউয়াল(৫৫),তুহিন মিয়া (৪০)কে চিকিৎসার জন্য
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও গুলিতে উপজেলা
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন এর স্ত্রী বাবলী
বেগম (৩৫),একই গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩০) ও বাজার ব্যবসায়ী আলমগীর
হোসেন এর শিশু পুত্র রাহাত (৫) আহত হয়। সেই সাথে পুলিশের
লাঠিপেটায় বাজার ব্যবসায়ী (অবঃ) সেনা কর্পোলাল মহসিন মিয়া ও
বাজরে উপস্থিত ভাটি তাহিরপুর গ্রামের শ্যামল মিয়া,জুয়েল
মিয়া,কবিরুল,শাহিন রেজা,লালন,সাজন মিয়া ও ওয়াহিদনুর মারাত্মক আহত
হয়। আহতদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা
দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও প্রতক্ষর্দশী সূত্রে জানাযায়,তাহিরপুর বাজারের
চাউল ব্যবসায়ী রতনশ্রী গ্রামের এনামুল হক ভাটি তাহিরপুর গ্রামের
কৃষক ছুরত মিয়ার নিকট পাওনা ৫হাজার টাকার তাগাদা দিলে দু-জনের
মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ী এনামুল
হক সুরত মিয়াকে তার বাজারের ঘরে পাওনা টাকার নিয়ে দু-জনের মধ্যে চরম
বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে সুরত মিয়ার ভাই মুজিবনুর মিয়া বাজারে
এলে এনামুল ও তার ভাইয়েরা মিলে মুজিবনুর এর উপর আক্রমন করে। ঘটনার
সংবাদ শুনে থানা পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে এসে ঘটনা জড়িত দু’পক্ষ
ব্যাতীত বাজারে উপস্থিত ব্যবসায়ী জনতার উপর বেধরক লাটিপেটা করে।
পরবর্তীতে এ নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ বাজার ছেড়ে ভাটি তাহিরপুর গ্রামের ভেতর ঢুকে পড়ে
সে সময় পুলিশ কমপক্ষে ২০রাউন্ড গুলি ছুরে। আহতদের সবাই তাহিরপুর
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে এ নিয়ে
তাহিরপুর বাজারে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনায় উপস্থিত তাহিরপুর
থানা অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর বলেন,পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ফাকা
গুলি ছুড়ে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।