বাংলার প্রতিদিন ডটকম, ডেস্কঃ
দেশের অস্তিত্বের জন্য সুন্দরবনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকারের নেওয়া কোনো পদক্ষেপেই যেন সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি মাথায় রাখা হবে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং পরিবেশ মেলা ও বৃক্ষমেলা-২০১৭-এর উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে পদক্ষেপই নিই না কেন, সব সময়ই সুন্দরবনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। যাতে করে এই ম্যানগ্রোভ বনের কোনো ক্ষতি না হয়। সব প্রকল্পের ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি মাথায় রাখা হয়।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের জন্য ঐতিহ্য নয়, দেশের অস্তিত্বের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরবনের জন্য দেশ টিকে আছে। সুন্দরবনের বিস্তৃতি বাড়াতে এরই মধ্যে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বন তৈরির কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সব উপকূলীয় এলাকায় বেশি করে গাছ লাগাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও এ সময় জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষকে যদি মানুষের মতো বেঁচে থাকতে হয়, তাহলে অবশ্যই পরিবেশ তাঁর অনুকূলে থাকতে হবে। এটা একান্তভাবে দরকার। যদি সুস্থভাবে একজন মানুষ বাঁচতে চায়। আর সে জন্যই আমাদের পরিবেশের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমাদের পরিবেশ যেন নষ্ট না করি, প্রতিবেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটাও বিশেষভাবে নজরে রেখেই আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। আর সেদিকে আমরা বিশেষভাবে লক্ষ রাখছি।’
এ সময় প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে পরিকল্পিত নগরায়ণের তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবুজ বেষ্টনীই পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে। আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি প্রত্যেককে একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পরিবেশ পদক, বৃক্ষরোপণ এবং সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি একটি কাঁঠালগাছের চারা রোপণ করেন এবং বৃক্ষমেলা পরিদর্শন করেন।