বাসস :
রাজধানী ঢাকার ২১টি এলাকা চিকনগুনিয়া বিস্তারের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এই ২১টি এলাকায় চিকনগুনিয়া বাহক মশার ঘনত্ব বেশি।
আজ বৃহস্পতিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) নিজেদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। সচিবালয়ে আয়োজিত চিকনগুনিয়া রোগ বিস্তার রোধে করণীয় সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এলাকাগুলো হচ্ছে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর, মধ্যবাড্ডা, গুলশান-১, লালমাটিয়া, পল্লবী, মগবাজার, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, রামপুরা, তেজগাঁও, বনানী, নয়াটোলা, কুড়িল, পীরেরবাগ, রায়ের বাজার, শ্যামলী, উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টর, মনিপুরিপাড়া, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, মিরপুর-১ এবং কড়াইল বস্তি।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মশা নিধন কার্যক্রম চালানোর জন্য নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাড়িঘরের মধ্য অনেক সময় অনেক দিন পানি জমে থাকে, ফলে সেখানে এডিস মশার উৎপত্তি হতে পারে। তাই বাড়ির ভেতরে, বাড়ির ছাদে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে জনগণকে খেয়াল রাখতে হবে।’
চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে আতঙ্ক না ছড়িয়ে গণসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের কোনো আশঙ্কা নাই। সরকার এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই প্রস্তুত। চিকনগুনিয়া মরণঘাতী কোনো রোগ নয়।’
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।