অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশটির পাশে থাকার অঙ্গীকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত আবদুল রহিম ওরাজ বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেন, ‘আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের এক ঐতিহাসিক ও চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে ।
আমরা আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখব এবং আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা পাশে থাকব। ’বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মুসলিম দেশগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর প্রতিরোধে অগ্রগতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতির’ কথা পুনরায় উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, তারা ওই বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন এবং তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল দেশের ব্যাপকসংখ্যক মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং যে কারণে আমরা গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছি। ’
আফগান রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার কর্মকালীন সময়ে অনেক সমর্থন পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম এবং এখান থেকে আমি অনেক ভালবাসার স্মৃতি নিয়ে ফিরছি। ’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রহিম ওরাজ বলেন, ‘জনগণ আপনার নেতৃত্ব চায়। আপনি অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন, যা উন্নয়নশীল দেশসমূহের মুখোমুখি হতে হয়। ’
আফগান কূটনীতিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর সম্মান প্রদর্শন করেন এবং বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি একজন ছাত্র ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ওই সময় আফগানিস্তানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। ’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।