অনলাইন ডেস্কঃ
চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার নুরুন্নাহার নাসিমা বেগম নামের এক নারী ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে এই মামলা করেন।
মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- এসআই শহীদ, এএসআই দীন ইসলাম ও আবদুর রহিম, জাহানারা রশিদ, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কায়সার ও শুকুর আলী।
বাদীর আইনজীবী ইসমাইল মির্জা গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২৬ মে পুলিশের দুই কর্মকর্তা ওসির নির্দেশে বাদীর ভাড়াটেদের বের করে দিয়ে ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে চাবি নিয়ে যান। পরে থানায় ওই চাবি নিতে গেলে বাদীর কাছে পুলিশ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
সর্বশেষ শনিবার ওসি জলিলের নির্দেশে পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ ও দীন ইসলামসহ পুলিশের আরও পাঁচ-ছয়জন সদস্য বাদীর বাসার তালা ভেঙে ২০ হাজার টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করেছেন। মামলার আসামি জাহানারা বাদীর জমিজমা সংক্রান্ত কাগজ-পত্র চুরি করেছেন।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি বাদীকেই চেনেন না। পুলিশের যেসব কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা চাঁদা চেয়েছেন বা চুরি করেছেন—তা আদৌ সত্য নয়। তবে ওই দুই পক্ষের মধ্যে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত ঝামেলা আছে।