সোহেল রানা, (হিলি), দিনাজপুর প্রতিনিধি:
ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে উত্পাদিত ফসলের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ ও ব্যাংকঋণ মওকুফের দাবিতে
চলমান আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছয় কৃষক নিহত হওয়ার জেরে ওইসব অঞ্চল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ
আমদানি কমে গেছে। বাজারে পণ্যটির প্রভাব পড়েছে।গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ২ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পণ্যটির দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
হিলি স্থলবন্দর শুল্কস্টেশনের তথ্যমতে, এক সপ্তাহ আগে বন্দর দিয়ে দৈনিক ৫০-৬০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি
হতো। বর্তমানে তা দৈনিক ৩৫-৪০ ট্রাকে নেমে এসেছে।
জানা গেছে, ১ জুন ৫১টি ট্রাকে ১ হাজার ৪৮ টন, ৩ জুন ১৯টি ট্রাকে ৩৯০ টন, ৪ জুন ৫৬টি ট্রাকে ১ হাজার ১৮৮
টন, ৫ জুন ৪৫টি ট্রাকে ৯৪৬ টন, ৬ জুন ৪৮টি ট্রাকে ১ হাজার ৯ টন, ৭ জুন ৩৮টি ট্রাকে ৫৭৬ টন ও ৮ জুন ৩৯টি
ট্রাকে ৫৯১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
মে মাসে বন্দর দিয়ে ১ হাজার ২১২টি ট্রাকে মোট ২৫ হাজার ৬৩৯ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
আমদানি হ্রাসের প্রভাব পড়েছে পণ্যটির দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজের চাহিদার একটা বড় অংশ পূরণ
হয় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দিয়ে। সম্প্রতি আমদানি কমে যাওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তে শুরু
করেছে।
হিলি স্থলবন্দরে বর্তমানে ইন্দোর জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ (ট্রাকসেল) ১১ থেকে ১১ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি
হচ্ছে।
নাসিক জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়। এক সপ্তাহ আগে এ দুই জাতের
পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২ টাকা কম ছিল।
একই বাজারে দেশী জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ জানান, সম্প্রতি ভারত থেকে পেঁয়াজ
আমদানি কমেছে। এ কারণে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কম। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে বাড়তির দিকে। এ
কারণে দাম বাড়তে শুরু করেছে। আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমবে না বলে জানান তিনি।