বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

দরপত্র ছাড়াই জেলা পরিষদের গাছ কর্তন অভিযোগ

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭
  • ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে

নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকেঃ

দরপত্র আহবান ছাড়াই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের

নতুনবাজার এলাকায় জেলা পরিষদের গাছ ও গাছের ডালপালা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে

জেলা পরিষদের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে আলতাব

হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে ধোপাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যানের

কথা বললেও পরে বলে জেলা পরিষদে নিলামের কাগজ আছে। আর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌাশলী

সিদ্দিকুর রহমান তিন দিন ধরে কাগজ দিতে তালবাহানা করছে ।

গত শনিবার (১০জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা পরিষদের দুই নম্বর ওয়ার্ডের

সদস্য আলতাব হোসেন গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের নতুনবাজার এলাকায় একটি গাছের ডাল

কেটে স্থানীয় মমতাজ আলীর কাছে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। ওই বাজারের ব্যবসায়ি

আবদুল মজিদের দোকান ঘরের উপর থেকে একটি গাছের ডাল কাটার জন্য নিয়েছেন আট হাজার

টাকা ও তারই কাছে আবার সেই গাছের ডাল বিক্রি করেছেন নয় হাজার টাকায়। এছাড়া

ধোপাডাঙ্গা-নলডাঙ্গা সড়কের উত্তর ধোপাডাঙ্গা গ্রামে রাস্তার পাশের একটি গাছ বিক্রি

করেছেন স্থানীয় ছেলেদের কাছে। যার অনুমানকি মূল্য ১লক্ষ টাকা। সেসব ডালপালা রাস্তার পাশেই

পড়ে রয়েছে।

মমতাজ আলী বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য আলতাব হোসেনের কাছে থেকে ছয় হাজার টাকায়

গাছের ডালগুলো কিনেছি। আলতাব হোসেন নিজে উপস্থিত থেকে গাছের ডালগুলো কেটে

ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। তার কাছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতিপত্র আছে বলে

জানিয়েছেন তিনি।

ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, জীবিত গাছ বা

ডালপালা কাটার কোনো অনুমতি নেই। অনুমতি ছাড়াই জেলা পরিষদের লক্ষাধিক টাকার গাছ ও

ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। এতে জেলা পরিষদ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. মোখলেছুর রহমান রাজু বলেন,

গাছের ডাল কেটে ফেলার জন্য গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদনে

শুধুমাত্র আমি সুপারিশ করেছি। এর বাহিরে আমার কিছু জানা নেই।

জেলা পরিষদের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলতাব হোসেন বলেন, ওই সব গাছের ডাল কেটে ফেলার

জন্য ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমতি রয়েছে। জেলা পরিষদের গাছ

চেয়ারম্যান কাটার অনুমতি দিতে পারেনা তাকে এমন কথা বলার পর তিনি নিলামের কাগজ জেলা

পরিষদে আছে বলে জানান।

এ বিষয়ে ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. মোখলেছুর রহমান রাজু বলেন,

জেলা পরিষদের গাছ ও গাছের ডাল কাটার অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌাশলী সিদ্দিকুর রহমানের কাছে

জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অফিসের ফাইল না দেখে আমি কিছুই বলতে পারবো

না।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের নিকট ৫.৫৭ মিনিটে ২/৩ বার

তার মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451