হেলাল শেখ-বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায়
যাত্রীদের চরম ভোগান্তি বাড়ছে। যাত্রী সাধারণের কঠোর নিরাপত্তায় রয়েছে সাদা পোশাকে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও র্যাব।
বিশেষ করে, বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের রাস্তার দুই’পাশে হকাররা দোকান দিয়ে দখল করে
রেখেছে। সেই সঙ্গে বাস, মিনিবাস, নাইট কোচ, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন এক সঙ্গে
রোডে চলাচল করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে যাত্রী সাধারণের অভিযোগ। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় থাকার বিষয়টি স্বীকার করে অনেকেই বলেন, বর্তমান সরকার
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে জনগণের কঠোর নিরাপত্তা দেয়ায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ
জানাচ্ছি।
শনিবার ও গত তিন দিন ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাইল
থেকে জামগড়া, পুরাতন আশুলিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট, অন্যদিকে আশুলিয়া থানার সামনে থেকে
মহাসড়কের বাড়ই পাড়া পর্যন্ত যানজট, গাজীপুর জেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে কোনাবাড়ি
পর্যন্ত ও টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই পর্যন্ত উভয় পাশের প্রায় দীর্ঘ ২৫ থেকে
৩০ কিলোমিটার রোডে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টির কারণে যাত্রী সাধারণের চরম ভোগান্তি হচ্ছে
বলে অনেক যাত্রী জানান। অনেকেই বলছেন, সরকারি রোডের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা ও হকার
কর্তৃক দখল এবং রাস্তা খোড়াখুড়ির কারণেও যানজট সৃষ্টি হয়।
উক্ত যানজটের বিষয়ে সাহেব এন্টাপ্রাইজের চালক মোহাম্মাদ আলী ও বাস যাত্রী নয়ন (২৫),
আরাফ (৩৮), সাংবাদিকদের জানান, গত বছর ঈদে সকালে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি
সিরাজগঞ্জ যেতে যমুনা সেতু পর্যন্ত সন্ধা হয়েছে। এ বছর ঈদের সময় ৭দিন আগে থেকেই
যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। আরও অনেকেই বলছেন, গত বছর পন্যবাহী
ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেকেই পায়ে
হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ি (সালনা) হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ হোসেন সরকার জানান, ঢাকা-
টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নতিকরণের কাজ চলছে। এছাড়াও রাস্তা খোঁড়াখুড়ির কাজও
চলছে অনেক স্থানে, এ কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা
সম্পর্কে র্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, ঈদে রাজধানীর ১৫ থেকে ২০ লাখ বাড়ি খালি
থাকবে। বেশিরভাগ বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই ফাঁকা
ঢাকার কঠোর নিরাপত্তা দেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টির কারণে দেশের সব স্থানে ও
রেল স্টেশনগুলোতে গত ৫-৬ বছর ধরে পকেটমার সহ অন্য সব অপরাধীদের দৌরাত্ম্য নেই বলে জানান
র্যাবের মহাপরিচালক।
শনিবার উক্ত বিষয়ে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের সাভার এর (টিআই) ১, আবুল হোসেন জানান,
ঈদ উপলক্ষে যানজট নিরসনে ও যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তায় বিপুল পরিমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।