রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের ঘটনার ৫দিন পেরিয়ে গেলেও বিশুদ্ধ খাবার পানি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানি সংকটে দু:সহ সময় পার করছেন ওই অঞ্চলের মানুষ। এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ।
রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন এ অঞ্চলের মানুষ। পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্ধারকৃত মৃতদেহের মধ্যে ১১৩ জনই রাঙামাটির।
এ ঘটনায় এখনও অনেকেই নিখোঁজ থাকলেও ইতোমধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
পরে শনিবার স্থানীয়দের দাবির মুখে দুটি স্থানে আবারো উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। এতে উদ্ধার করা হয় আরো ২ জনের মরদেহ।
যারা বেঁচে আছেন তারাও রয়েছেন ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে। শহরের রিজার্ভ বাজার, বনরূপা, তবলছড়ি, ভেদভেদীসহ আশপাশে সকল এলাকায় দোকানে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। বাজারে জ্বালানি তেলের খুচরা দোকানগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ। পেট্রোল পাম্পগুলোতে বন্ধ হয়ে গেছে সরবরাহ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। কাপ্তাই রাঙামাটি নৌপথে লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা নৌপথে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা নিলে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।