বাসস,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে মরক্কোকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য সারা দেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। মরক্কো এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবন কার্যালয়ে বাংলাদেশে মরক্কোর নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মজিদ হালিম সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক স্বার্থে আলোচনার মাধ্যমে সহযোগিতার খাতগুলো চিহ্নিত করতে পারি।’
কৃষি খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা মরক্কোর সঙ্গে বিনিময় করতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানত কৃষির ওপর নির্ভর এবং দেশের সব মানুষের জন্য খাদ্যের জোগান দেওয়া খুবই কঠিন ছিল। আমরা গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছি। বর্তমানে ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। দেশে এখন কোনো খাদ্য সংকট নেই।’ শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে আমাদের জিডিপি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ১৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।’ তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্ম পালন করছে।
মরক্কোর রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহের কথা ব্যক্ত করে পর্যটন, বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য ও অর্থনীতিসহ অন্যান্য খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে চাই।’
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনায় মজিদ হালিম বলেন, অনেক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মরক্কোর অবস্থান অভিন্ন।
দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্ক আরো জোরদার করতে তিনি কাজ করে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।