সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীরের ২ সদস্য গ্রেপ্তার বগুড়ায় আইন কর্মকর্তা নিয়োগ বিএনপি-জামায়াতপন্থি ১০৭ জন অতি বৃষ্টির কারণে লালমনিহাট জেলায় বন্যা নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত বগুড়ায় ট্রাক পরিবহনের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার আত্মসাৎ ও মামলা টিএমএসএস সদস্যদের (RAISE) প্রকল্পের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দীর্ঘ ১৩ বছর পর আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকুরী ফেরত পেলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিত্যক্ত চুল পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে ভাগ্য বোনার চেষ্টা আদিতমারীর নারীদের। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

ঈদ উপলক্ষে স্বল্প ছুটিতে শত কষ্ট ও বিড়ম্বনার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকের বাড়ি ফেরা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৪ জুন, ২০১৭
  • ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিনিধি
মো. আখলাকুজ্জামান ঃ

বাঙ্গালির বন্ধন হৃদয়-মন- প্রাণ-রক্তের। এ রকম বন্ধন অন্য কোনো জাতির নেই। হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু সময়

পেলেই ছুটে চলে শেকড়ের টানে। আর সময়টি যদি ঈদের হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে

নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা, প্রতিবছর রাজধানী থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজ নিজ গন্তব্যে স্বজনদের সঙ্গে

ঈদ উদযাপনের আকাঙ্খা যেন কোনো বাধাকেই বাধা মনে করে না। প্রকৃত সুখ অনুভবের লক্ষ্যে আপন ঠিকানায় পৌঁছাতে

দূর-দুরান্তে কর্মরত থাকা কর্মজীবিরা পরিতৃপ্ত লাভের আশায় আপনজনদের সঙ্গে মিলে আনন্দে উদ্বেলিত হচ্ছে। এ যেন এক শ্বাশত

চিরায়ত ধারাবাহিকতা।

প্রতি বছর যেমন শতশত নতুন পোশাক শিল্প কারখানা স্থাপিত হয় তেমনি শতশত কারখানা প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ

হয়ে যায়। বর্তমানে এ খাতে উদ্যোক্তা বেড়েছে, শিল্প প্রতিষ্ঠান বেড়েছে, রপ্তানি আয় বেড়েছে এবং শ্রমিকের সংখ্যাও

বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি শ্রমিকের জীবন-মান, উন্নত হয়নি তাদের মৌলিক অধিকার। শুধুমাত্র ঈদ উপলক্ষে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান,

শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, ওভারটাইম ও স্বল্প পরিমাণ বেতন নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। বাংলাদেশে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের

সংখ্যাও ৪ হাজারের কম নয়। কিন্তু এসব শিল্প কারখানার শ্রমিক সংখ্যা কত তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি এবং এ

নিয়ে বিভিন্ন অধিদপ্তরের মধ্যে মতভেদ আছে বলে প্রকাশিত বিভিন্ন গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে।

আকাশের গায়ে চাঁদ উঠবে, নিয়ে আসবে আনন্দের বার্তা। দিনটি ধনী-গরিব, আখলাক-আশরাফ নির্বিশেষে সবাইকে এক

কাতারে দাঁড় করায়। এদিক থেকে ঈদ কেবল আনন্দের বার্তাই নিয়ে আসে না, ইসলাম সাম্যের এক বড় বন্ধন এই ঈদ। ইসলাম

ধর্মের দুই ঈদের মধ্যে এক মাস রোজার কারণে ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতি-আয়োজন নজর কাড়ে। দীর্ঘ এক মাস সংযম পালন। আল্লাহর

সান্নিধ্য লাভের আশায় রোজা রেখেছে কোটি কোটি মানুষ। ঘরে ঘরে, মসজিদে-মক্তবে করা হয়েছে কোরআন খতম। ইবাদত-

বন্দেগির পাশাপাশি ছিল সবার জন্য নতুন পোশাক-সংস্থানের চেষ্টা। নিজের আর প্রিয়জনের জন্য সাধ্যমতো পোশাক-আশাক

কেনার আনন্দই বা কম কিসের!

প্রায় শ্রমিকই প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে নিয়ে সাধ্যমত হয়তো চেষ্টা করেছেন প্রিয়জনদের জন্য কিছু কিনতে। সন্তান,

বাবা-মা বা পরিবারের অন্যদের হয়তো ফোনে বলেও দিয়েছেন- আজ রাতে বা কাল সকালেই বাড়ি ফিরছি। খুব কাছের কিন্তু

অস্থায়ী প্রিয় সহকর্মীদের থেকে হয়তো বিদায় নিতেও শুরু করেছেন কেউ কেউ। একদিকে বুক ভরা কষ্ট, হতাশা, স্বল্প দৈর্ঘ্য

ছুটির চাপা যন্ত্রনা আর অন্য দিকে টানা একমাস রোজা রেখে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা/১০টা পর্যন্ত কাজ করা রুগ্ন শরীর

নিয়ে মমতা জড়ানো গাঁয়ের বাড়ীর পথে পা বাড়ায় এই পোশাক শ্রমিকরা।

ঈদে বাড়ি ফেরার কী যে আনন্দ, তা কেবল তারাই জানেন, যারা গ্রামের বাড়িতে পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উপভোগ করেন।

বাঙ্গালির ঈদের সঙ্গে গ্রামের একটি সেতুবন্ধন রয়েছে। ঈদ এলেই যেন মনের কোণে বারবার হাতছানি দেয় সেই মেঠো পথ,

জমির আল ধরে ধানখেতের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সবুজ গাছের সারি, বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ-আড্ডা- খেলাধুলা, নদীর পানিতে

ঝাঁপাঝাঁপি আর দল বেঁধে মাছ ধরার স্মৃতিময় দিনগুলো। অনেক পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। তাদের সাথে সময় কাটালে

মনে হয়, যেন বয়সটা অনেক কমে গেছে। যেখানে একজন মানুষের জন্ম-শৈশব কেটেছে, পরিবার, পূর্বপুরুষের ধারাবাহিক

বসবাস রয়েছে-তার একটা আকর্ষণ রয়েছে মানুষের মাঝে। একটি বাড়ি, কয়েকজন মানুষ, সেই মানুষগুলো ঘিরে তার অস্তিত্ব,

যে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশের দিকে তাকিয়ে তার শৈশবের কল্পনার বিস্তার ঘটেছিল, যেখানে তরুণ বয়সের স্বপ্নগুলো পাখা

মেলেছিল, যে গ্রাম, শহরে বা পাড়ায় একজন মানুষের সেই স্বপ্নগুলোকে সত্যি করে তুলবার শক্তি জুগিয়েছে, সেখানে ফিরতে

মন টানে। সেখানে ফিরে গেলে যেন ফেলে আসা সেই শৈশব, স্মৃতিময় দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার একটা অনুভূতি ফিরে আসে।

সারাদেশের পোশাক শিল্প কারখানার বেশিরভাগই বহিরাগত গরিব-দুখি শ্রমিক। এসব শ্রমিকের দিকে তাকালে মনে হয়, ঈদ অর্থ

পরম মমতায় মায়ের কাছে গাঁয়ে ফিরে যাওয়া। শেকড়ের সন্ধানে ফিকে হয়ে যাওয়া শৈশব-কৈশর উজ্জ্বল হয়ে উদ্ভাসিত হওয়া। সব

ভেদাভেদ ভুলে সকল মুসলমান এক কাতারে শামিল হওয়া। চোখে মুখে খেলা করছে অন্যরকম দ্যুতি। কী সেই অমোঘ টান যার জন্য

মানুষ শত কষ্ট স্বীকার করে ঘরে ফিরছে? বাসে, ট্রাকে, লঞ্চে, ট্রেনে কোথাও পা ফেলবার উপায় নেই, তবুও কারো মাঝে এতটুকু

বিরক্তি নেই। কিন্তু এ দেশ উন্নয়নের মূল চাবিকাঠির একাংশ পোশাক শিল্প হলেও শ্রমিকদের নির্বিঘেœ ও নিরাপদে বাড়ি ফেরা

হয়না। সামনে তাদের হিমালয় পর্বত সবকিছু জয় করে এই জীর্ণ আর রুগ্ন শরীরেই বাড়ি ফিরতে হবে। বাসে সিট নেই,

ট্রাক গুলো মাল বোঝাই, ট্রেনের টিকিট পর্যন্ত নেই। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কত যে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে

দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়, তা ভুক্তভোগীরাই কেবল জানে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই শ্রমিকরা পুরো পথ পাড়ি দিয়ে ঈদের দিনের ২/১

ঘন্টা পূর্বে পৌঁছান গাঁয়ের বাড়িতে।

গাজিপুরের থানবী প্রিন্ট ওয়ার্ল্ড লিঃ গার্মেন্টসের কোয়ালিটি সুপারভাইজার শ্রমিক আশরাফ আলী বলেন, কোটি মানুষের

ভিড়ে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যু পথযাত্রীর মতো স্বজনদের সাথে ঈদ করার জন্য সীমাহীন যানজট, অতিরিক্ত ভাড়া, পথে পথে নিদারুণ

কষ্ট সহ্য করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। ফেলে আসা শৈশব স্মৃতিমাখা গ্রামটি দেখতে এতটুকু কষ্ট সহ্য করতেই হবে। এবার ঈদে ৭

দিনের ছুটি পেলেও বাড়ি যেতে একদিন এবং আসতে একদিন লাগে। বছর পরে অপেক্ষা ও প্রতিক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে মা, বাবা,

ভাই-বোন, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ মেতে উঠবো। আর ঈদের দিনসহ ৩/৪ দিনের মধ্যে ফেলে রেখে

আসবো নতুন কিছু স্মৃতি। কারণ আবার শত কষ্ট ও দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে বাড়ি ছেড়ে আসতে হবে সেই প্রিয়

গার্মেন্টসে।

ডিবিএল গ্রুপ-গার্মেন্টসের কাটার মাষ্টার শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বাড়ি ফেরার আগেই সবার জন্য নতুন নতুন কাপড়

কিনেছি। কিন্তু ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষ না হতেই সুতোয় টান পরবে, ফিরতে হবে প্রিয় গার্মেন্টসে। অশ্রুসজল প্রিয়

বাবা-মা, অতি আদরের প্রিয় সন্তান বিদায়! দেখা হবে আবার আগামী ঈদে। আসা-যাওয়ার এই পথে কোন দূর্ঘটনার শিকার

হলে হয়তো চিরতরে পঙ্গু বা মহামূল্যবান জীবনটাই হারিয়ে ফেলবো। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ তাই বিদ্ধস্থ হবে পরিবার। আমি

না হলেও হয়তো অন্য কোন সহকর্মী যেকোন দূর্ঘটনার শিকার হবে। কারণ নিয়োতির খেলার মতো প্রতি ঈদেই অনেক মানুষ

যাতায়াত পথেই দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুর কোলে ঝরে পড়ে। তারপরেও তো কারও কিছু যায় আসে না!

অপর এক সাধারণ পোশাক শ্রমিক বলেন, কারখানার মধ্যে সারাদিন বন্দি হয়ে থেকে কাজ করতে হয়। দিনের আলোয় প্রকৃতির

রুপ, বাতাস ও সৌন্দর্য্য দেখিনা সেই কবে থেকে। দাঁড়িয়ে থেকে পোশাক তৈরী করতে গিয়ে আমি এখন বিরক্ত ও অসুস্থবোধ

করছি। তাই ঈদের আনন্দ মাটি করতে চাই না বলে গার্মেন্টসে কাজ করার চিন্তা বাদ দিয়েছি। ঈদের ছুটিতেই শত কষ্ট ও

বিড়ম্বনা জানা সত্ত্বেও পথে অগণিত মানুষের ভিড়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে কি করবো চিন্তায় পড়ে গেছি। তবুও নিজে এবং চেনা

অচেনা অন্যদের সাথে নিয়ে ফিরছি আপন নিবাসে। আর ফিরে আসবো না এই অনিরাপদ ও অনিশ্চিত দেশে।

চাঁদ দেখা গেলে সরকারি ঘোষণার সমান্তরালে বাজবে সাম্যের কবি নজরুলের অমরগাথা- ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এল

খুশির ঈদ’। পাড়া-মহল্লায় মসজিদের মাইকে ভেসে আসবে ‘ঈদ মোবারক’ ধ্বনি। জানিয়ে দেয়া হবে ঈদের জামাতের

সময়সূচি। ঘরে ঘরে শুরু হবে সাধ্যমতো উপাদেয় খাবারের আয়োজনের তোড়জোড়। ‘সেমাইয়ের ঈদ’ নামে প্রচলিত এই ঈদে

নানা রকম সেমাইয়ের সঙ্গে থাকবে ফিরনি, পিঠা, পায়েস, পোলাও, কোরমাসহ মুখরোচক খাবারের আয়োজন। বিশেষ আয়োজন

থেকে বাদ যাবে না রোগী, চিকিৎসাধীন বন্দী বা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত কর্মীরাও। রোগীদের জন্য হাসপাতালে,

এতিমদের জন্য এতিমখানায় ও বন্দীদের জন্য কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। সরকারি শিশুসদন, ছোটমণি

নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রেও থাকবে খাবার ও

বিনোদনের বিশেষ ব্যবস্থা। বিনোদনকেন্দ্রগুলোও সাজবে উৎসবের রুপে। ঈদের আনন্দ আরও বাড়াতে আমাদের দেশের

মিডিয়াপাড়ায় থাকে ব্যাপক আয়োজন। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে থাকে ঈদ আনন্দ ম্যাগাজিন, নাটক, টেলিফিল্ম,
কনসার্টসহ নানা আয়োজন। আর প্রিন্ট ও ওয়েব মিডিয়াগুলো আয়োজন করে বিশেষ বিশেষ ঈদ সংখ্যা। থাকে সাহিত্য পাতা,

গল্প, কবিতা, ঈদের ছড়াসহ নানা আয়োজন।

মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা দেশে সোমবার পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর পালিত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে সোমবার ঈদ না হলে

মঙ্গলবার হবে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যাচ্ছে। ঈদে বাড়ি ফেরা এবং ছোটবেলার স্মৃতি নিয়ে অনেকেই সামাজিক

যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা হলো সব্#৩৯;চে বেশি আনন্দের, সব্#৩৯;চে বেশি মধুর। কে কার আগে চাঁদ

দেখলো এ নিয়ে এক প্রতিযোগিতা হয়ে যেত। তারপর সেই ঐতিহাসিক গানের মূর্ছনা- রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো

খুশির ঈদ। নানা বাড়িতে খুব ছোটবেলায় দেখেছি, হাতে বানানো সেমাই। বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাওয়ার

প্রস্তুতিটাও আমাদের কাছে ভিন্নরকমের। অন্যথায় এই ঈদ বারবার কিছু মানুষের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে আসলেও ব্যাপক

জনগোষ্ঠির কাছে তা অধরাই হয়ে থাকছে। তবুও ঈদ সকলের কাছে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসুক।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে ঈদ-উল- ফিতর ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে শত বিড়ম্বনার মাঝেও

গ্রাম নির্ভর মানুষ নাড়ির টানে নিকট আত্মীয়দের কাছে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু ইতোমধ্যে বাসের টিকিট

লাপাত্তা হয়ে গেছে, ভিআইপিদের ডিও লেটারের ভিড়ে ট্রেনের টিকিট সাধারণ জনগণের কাছে সোনার হরিণতুল্য, বেহাল সড়ক

ও মহাসড়কের কারণে স্বয়ং যোগাযোগ মন্ত্রী আরামকে হারাম করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সজাগ ও কাজে ব্যস্ত রাখছেন

জনগণের যাত্রাপথে দু:খ-দুর্দশা লাঘবের জন্য। এক কথায় সড়ক, রেল ও নৌপথে জনগণের ঈদ যাত্রা মোটেও নির্বিঘœ নয়। এ

অবস্থায় উক্ত নৌ, সড়ক ও রেল সংস্থা, সকল মালিক সমিতি, স্টেশন-স্ট্যান্ড ও ঘাট সমিতি, সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও

গোয়েন্দা সংস্থাসহ সকলের সতর্ক পদক্ষেপ এবং উপয্ধুসঢ়;ক্ত সিদ্ধান্ত ও দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে সকল সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায়

খুঁজে বের করে যাত্রীদের আসা-যাওয়ার পথ নির্বিঘœ ও নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451