অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বর্তমান ১৮ জন নারী নেতাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত একটি বইয়ে একথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
নারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শীর্ষক এ বইয়ের প্রচ্ছদে অপর ৬ জন বিশ্বনেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার ছবি মুদ্রিত হয়েছে। বইটির লেখক হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মানবাধিকারকর্মী ও শিক্ষাবিদ রিচার্ড ও’ব্রেইন।ওয়াশিংটন ডিসির ওমেন্স ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ক্লাবে (ডব্লিউএনডিসি) বিদেশি কূটনীতিক, নারী নেত্রী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বইটি প্রকাশ করা হয়।লেখক বইটিতে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একনিষ্ঠতা ও কঠোর পরিশ্রম, তাঁর জীবননাশের চেষ্টা এবং বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক অর্জন লিপিবদ্ধে ৩ পৃষ্ঠা উৎসর্গ করেন।ও’ব্রেইন বাংলাদেশকে অধিকতর স্থিতিশীল ও অধিকতর গণতান্ত্রিক এবং অপেক্ষাকৃত কম হিংসাত্মক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে লেখক শেখ হাসিনার একটি উক্তি উদ্ধৃত করে লিখেন, ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আমি গর্বিত হব।’গ্রন্থে প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক পটভূমির উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। লেখক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে উল্লেখ করেন, ওই সময়ে শেখ হাসিনা ও তার বোন (শেখ রেহেনা) দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান।ও’ব্রেইন ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে পরিচালনার নেতৃত্বের পদে নির্বাচিত হয়ে তিনি নির্বাচনী কারচুপি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সে সময় তাঁকে দমন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয় এবং ৮০’র দশকে তিনি গৃহবন্দি হন।লেখক এরশাদ শাসনামলের কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকারের নির্যাতন সত্ত্বেও শেখ হাসিনা এতই প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ছিলেন যে, তাঁর চাপে ১৯৯০ সালে একজন সামরিক জান্তাকে পদত্যাগ করতে হয়।লেখক বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার ১৯৯৭ সালে যুগান্তকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, স্থলমাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ ও ক্ষুদ্রঋণ সম্মেলনে সভাপতিকে সহায়তা ও নারী কল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ অনেক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছেন।রিচার্ড তার গ্রন্থে শান্তি ও গণতন্ত্রের বিকাশে শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করে বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) মাদার তেরেসা পদক ও গান্ধী পদক অর্জন করেছেন।