এম ইসলাম সুজন,ক্রাইমরিপোর্টার নীলফামারী ॥
নীলফামারীর ডিমলায় জমি সংক্রান্ত দ¦ন্দে¦ আমন ধানের চারা রোপনের কাজ
করতে গিয়ে সোমবার কায়িক শ্রমিক ফজলে রহমান (৫৫) নিহত হয়েছে।
তিনি নাউতরা ইউনিয়নের নাউতরা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র। ফজলে
রহমান কায়িক শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতেন।ঘটনার দিন
তিনি দিনমুজুরের কাজে নিয়োজিত অবস্থায় হামলার শিকার হলে তাকে
আহত অবস্থায় ডিমলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।এ ঘটনায় পুলিশ
উক্ত ইউনিয়নের দারোগ আলীর পুত্র নছর আলী (২৭) ও মৃত, হাকিম আলীর পুত্র
মুক্তার আলী (৪০)নামের দুইজনকে আটক করলেও আটককৃত নছর আলীকে নিয়ে
বানিজ্যের পায়তারা চলছে বলে গোপন সুত্রে জানা গেছে ।
জানা যায়, সোমবার সকালে উপজেলার নাউতরা ইউনিয়নের নাউতরা বাজার
সংলগ্ন বোরহান উদ্দিনের ভোগদখলকৃত জমি আনিছুর রহমান হাল চাষ করতে
ছিল।এবং উক্ত জমিতে আমন ধানের চারা লাগানের জন্য ফজলে রহমানকে দিন
মুজুর হিসেবে নিয়ে যায়।এ সময়ে জমিতে আানিছুর রহমানের সাথে
বোরহান উদ্দিনের সংঘর্ষে বাধে। এতে উভয় পরিবারের ৯জন আহত হন।
আহতের মধ্যে কায়িক শ্রমিক ফজলে রহমানকে হাসপাতাল নেয়ার পথে মারা
যায়। এ ঘটনায় আনিছুর রহমান (৩৮), আনিছুর রহমানের স্ত্রী মরিয়ম
বেগম (৩৫), জুয়েল রানা (৪৫), নযন ইসলাম (২২) ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি
হয়েছে। অপরদিকে বোরহান উদ্দিনের পরিবারের ৫জন সদস্য বিভিন্ন
হাসপাতলে ভর্তি হয়েছে। বোরহান উদ্দিন বলেন, উক্ত জমিটি আমার কেনা।
উক্ত জমিতে জোরপুর্বক দখল করতে যাওয়ায় সংঘর্ষ বাধে। এতে তার পরিবারের
৫জন সদস্য জলঢাকা ও রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতদের মধ্যে আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে ডিমলা
হাসপাতাল থেকে রংপুর হাসাপাতালে হস্তান্তর করা হয়। রংপুর নাউতরা ইউপি
চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন বলেন, বিরোধপুর্ন জমির সীমানা নিয়ে
সংঘর্ষে শ্রমিক নিহত হয়েছে । ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন
বলেন, জমি নিয়ে সংঘর্ষে শ্রমিক নিহত হওয়ার পর সেখানে পুলিশ
পাঠানো হয়েছে। লাশ বর্তমানে থানায় রয়েছে,ময়না তদন্তের জন্য জেলার
মর্গে প্রেরন করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি তবে
মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছে।