অনলাইন ডেস্কঃ
রাজধানীর বনানী থানা এলাকায় জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ মামলার আসামি বাহাউদ্দিন ইভান (২৮) দায় স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় খালার বাড়ি থেকে ইভানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তরুণীকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মুফতি মাহমুদ বলেন, গত ৫ জুলাই এক তরুণী বনানী থানায় ইভানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা করেন। মামলার পর অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও আসামিকে ধরতে কার্যক্রম শুরু করে। রেল, বাসস্টেশন, বিমানবন্দর, লঞ্চ টার্মিনালসহ সব স্থানে নজরদারি বাড়ানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১-এর একটি দল গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার অভিযান চালিয়ে ইভানকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ৫ জুলাই পুলিশ যখন বনানীর বাসায় অভিযান চালায়, সে সময় ছাদে আত্মগোপনে ছিলেন ইভান। পরবর্তী সময়ে পুলিশ বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর তিনি বের হন। এর পর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় আবার আত্মগোপন করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জে যান।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে ইভান জানান, তাঁর বাবা একজন ব্যবসায়ী। তিনি (ইভান) ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এর পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন। তখন থেকেই তিনি বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। তবে ‘বিভিন্ন অপকর্মের’ কারণে ২০০৮ সালে অল্প বয়সে তাঁকে পরিবার থেকে বিয়ে করানো হয়। তাঁর পাঁচ বছর ও দেড় বছরের দুটি সন্তান রয়েছে।
২০০৫ সাল থেকে ইভান মাদক সেবন করেন। আর দুবার মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
ধর্ষণের মামলা করা তরুণীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইভানের কাছ থেকে কোনো ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মুফতি মাহমুদ বলেন, তা এখনো সম্ভব হয়নি।
বনানী থানায় করা মামলার আসামি বলে ইভানকে সেই থানাতেই হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান মুফতি মাহমুদ।