মো:নুরুজজামান,থানা প্রতিনিধি,ঢাকা:
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে অবৈধ এবং মিথ্যা রায়ের প্রতিবাদে স্মারকলিপি প্রধান করেছে,ফ্রান্স মহিলা দল।
ফ্রান্স মহিলা দলের সভাপতি মমতাজ আলোর নেতৃত্বে, ফ্রান্স পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্মারকলিপি দিয়েছে,ফ্রান্স মহিলা দল।
মহিলা দলের সভাপতি,মমতাজ আলো বলেন,
তারেক রহমানের দন্ডাদেশ নিয়ে দুটি কথা,
জঙ্গী আক্রমন ও হুমকিতে বাংলাদেশ যখন অনিরাপদ, দেশের মানুষের যেখানে নিরাপত্তা নেই, সেখানে সরকারের অগ্রাধিকার থাকা উচিৎ ছিল এ সমস্যার প্রতিকার করা। কিন্তু সরকার সে পথে না হেঁটে বিএনপিকে নির্মূল করা এবং বিএনপির নেতৃত্বকে মামলা-মোকাদ্দমায় বিপর্যস্ত করার কৌশল নিয়েছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে।
আজ বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হাইকোর্ট যে দন্ড প্রদান করেছে- তা এ সরকারের ইচ্ছাধীন বিচার ব্যবস্থায় বিস্মিত হওয়ার কিছু ছিল না। সরকার দেশের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে এই দন্ডাদেশ দিয়েছে, যাতে এ পরিস্থিতিতে বিএনপি কোন বড় মাপের আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে।
তারেক রহমানকে বিচারিক আদালত নির্দোষ বলেছিল। অথচ সরকার উদ্দেশ্যপ্রনেদিত ভাবে তারেক রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রয়াসে দুদককে ব্যবহার করে ওই মামলাটিকে টেনে নিয়ে হাই কোর্টের মাধ্যমে আজ এই রায় দিল!
জনগনের নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, এই সরকারের মন্ত্রী মায়া এবং সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলার রায় স্থগিতাদেশ/বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগ মামলাগুলো পুন:বিচারের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে দুদুক ও এটর্নী জেনারেল অফিসের কোন নড়া-চড়া লক্ষ করা যায়নি।
ফলে এটা স্পষ্টত বোঝা যায়, আইন-আদালতের যত কার্যক্রম সব বিএনপিকে ঘিরে চলছে। সরকার বা আওয়ামী পক্ষীয় লোক হলে তারা নিশ্চুপ।
এতকিছুর পরও বিএনপি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ঐক্য করতে চেয়েছে, আর সিদ্ধান্তটি সঠিকও ছিল।
কিন্তু সরকার বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য করবে না। কেননা এটি শেষ পর্যন্ত তাদেরকে নিবার্চনের দিকে নিয়ে যাবে। এবং এর ফলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাও হারাতে হতে পারে। তারা জানে যদি কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে আর সেখানে যদি জনগন স্বাধীনভাবে ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারে, আওয়ামী লীগের পক্ষে ৩০টি আসনও জেতা সম্ভব নয়। তাই হাজারো সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে, দেশের মানুষকে অনিরাপদ রেখে, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শংকার মুখে ফেলে তারেক রহমানকে শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্যমুলক এজেন্ডা তাদের কাছে অগ্রাধিকার হয়ে দেখা দিল।
অথচ যারা সাগর চুরির ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে ফোকলা বানিয়ে ফেললো, শেয়ারবাজার জালিয়াতি করে পার পেয়ে গেল, মালয়েশিয়াতে হাজার হাজার লুটেরা সেকেন্ড হোম বানালো, বিদেশে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করলো তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেই! কারনটা জনগন বোঝেন।
তবে বিএনপির তরফ থেকে আগেই সাফ জানিয়ে দেয়া দরকার ছিল, জঙ্গী দমন না করে, দেশ ও জনগনকে অনিরাপদ রেখে, সরকার যদি বিএনপি নির্মূলের নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে তাহলে বিএনপি আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
এর ফলে সরকারকেও ভাবতে হতো তাদের কোন কাজটি আগে করা উচিৎ