অনলাইন ডেস্কঃ
নতুন করে নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আজ রোববার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে দেশের চলচ্চিত্র পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে চলচ্চিত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ও উন্নয়নের স্বার্থে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন। এতে আরো ছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের প্রতিনিধিদের পক্ষে অভিনেতা ফারুক এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। তাঁরা একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে ‘দেশের চলচ্চিত্রের স্বার্থে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালা দ্রুত যুগোপযোগী ও পূর্ণাঙ্গ করে নতুন নীতিমালা তৈরি’, ‘নতুন নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কিত কার্যক্রম স্থগিত রাখা’ এবং ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৫০টি এইচডি প্রজেক্টর মেশিন কিনে সিনেমা হলগুলোর প্রজেকশন কার্যক্রমে যুক্ত করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মো. মনজুরুর রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ, যুগ্ম সচিব (চলচ্চিত্র) মো. ইউছুব আলী মোল্লা, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, উপসচিব (চলচ্চিত্র) শাহীন আরা বেগম, চলচ্চিত্র পরিবারের সদস্য দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, খোরশেদ আলম খসরু, মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, অভিনেতা রিয়াজ ও জায়েদ খান উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রয়োজনার চলচ্চিত্র ‘বস-২,’ ‘নবাব’ দেশের সিনেমাগুলোতে প্রদর্শন নিয়ে বিতর্ক ওঠে। অবশ্য পরিচালক ও শিল্পীদের একাংশের প্রতিবাদের মুখে ঈদের মধ্যে চলচ্চিত্র দুটি প্রদর্শিত হয়।