অনলাইন ডেস্কঃ
১৯৯৪ সালের আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত দেড় হাজারের মতো আনসার সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে, তারা যতদিন চাকরিতে ছিলেন ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চাকরিচ্যুতদের করা পৃথক কয়েকটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ সোমবার এ আদেশ দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাহাবুদ্দিন খান লার্জ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন ও প্রতিকার চাকমা। রিটকারীদের আইনজীবী সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে অথবা যারা চাকরি করতে অক্ষম, তাদেরকে পেনশন সুবিধা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়, যা পরে বিদ্রোহে রূপ নেয়। পরে সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে অ-অঙ্গীভূত(চাকরিচ্যুত) করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সময়ে মামলার অভিযোগ থেকে আনসার সদস্যরা খালাস পান।
২৪৯৬ আনসার সদস্যর মধ্যে আব্দুল করিম, ড্রাইভার শফিকসহ ১৪৪৭ জন চাকরিতে পুনর্বহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ (সোমবার) হাইকোর্ট উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। রিটকারীদের আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হাইকোর্টের এই আদেশ শুধু রিটকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।