মোঃ আশিকুর রহমান (টুটুল),নাটোর প্রতিনিধি .
আষাঢ়ের ঢলে নাটোরের লালপুর উপজেলার খাল,বিল,ডোবাও পুকুর গুলোতে বর্ষার পানিতে
ভড়ে গেছে । আষাঢ়ে বর্ষনে এলাকার খাল,বিল পুকুরও ডোবাই পযাপ্ত পানি পেয়ে কৃষকের
মুখে হাসি ফুটেছে । তাইতো মহা ধুমধামে পাটকাটতে শুরু করেছে লালপুর থানার
পাটচাষীরা। চলতি বছর লালপুর থানার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পাটের চাষ
হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে । যার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার
৬০০বেল । এবছর বাজারে নতুন পাট বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমণ ১৫০০-২০০০হাজার টাকা দরে ।
লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের পাটচাষী মনির ,তয়জাল ,মজিবর হোসেন জানায়,
অনাণ্য বছর পাট জাগ দেওয়ার পানি না পেয়ে আমাদের অনেক বিপদে পরতে হয়েছে ।
অনান্য বছরের তুলনাই বর্ষার প্রথমেই বিল,জুলা,পুকুর ও ডোবাই অনেক পানি ঢুকেছে
। খোলা পানিতে এবছর পাটজাগ দিতে পারবো । তারা আরো জানাই অনাণ্য বছরের
তুরনাই এবছর পাটের ফলন বেশ ভালো হয়েছে তবে বাজারে নেজ্য মূল্যে পাট বিক্রয়ের জন্য
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আগামিতে এই অঞ্চলে পাটের চাষ আরো বৃদ্ধিপাবে । লালপুর
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খান জানান, এবছর আবাহাওয়া অনুকুলে
থাকাই লালপুর থানাই পাটের চাষ বেশি হয়েছে তবে এলাকাতে তোষা জাতের পাটের চাষ
করা হয়েছে। এবছর প্রতি হেক্টর জমিতে ৮ বেল করে পাটের উৎপাদন লক্ষ মাত্র ধরা হয়েছে ।
চলতি বছর এলাকাই পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ছেড়ে যেতে পারে । এবছর
আষাঢ়ের ঢলে এলাকার খাল,বিল পুকুরও ডোবাই পযাপ্ত পানি ঢোকার ফলে কৃষক দের পাট
জাগ দেওয়ার কোন সমস্যা নেই ।