মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে
স্বামীর বাড়ীতে স্ত্রী গত তিনদিন ধরে অনশন পালন করছে। তবে মেয়েটির শাশুর ও দাদী শাশুরীর
বাধায় বাড়ীতে প্রবেশ করতে না পেরে অবশেষে মেয়েটির ঠাই হয়েছে মন্দিরে। ঘটনাটি ঘটেছে
উপজেলার উচনা গ্রামে।
আজ রাত সাড়ে দশটায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বংপুরেরর তারাগঞ্জ উপজেলার মেনানগর
বানিয়াপাড়া গ্রামের শ্রী রমেশ বাবু রায়ের মেয়ে শ্রীমতি বিউটি রানী তৃষা (২০) সাভার হেমায়েতপুরের
গামের্ন্টস (এবি এ্যাপারেলস) চাকুরী করার সুবাদে জয়পুরহাটেরর পাঁচবিবি উপজেলার উচনা গ্রামের শ্রী
নিপেন চন্দ্রের পুত্র শ্রী অলক চন্দ্রের (২৪) এর পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সুবাদে দুজনের মধ্যে প্রেমের
সর্স্পক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সর্স্পকে জোরালো করতে প্রায় দেড় বছর পূর্বে রাজধানীর ঢাকেশ্বর
মন্দিরে হিন্দুসাস্ত্র মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং গত ২০/০৪/২০১৭ ইং তারিখে নোটারী পাবলিকের
মাধ্যমে এফিডেভিট করেন। সাস্প্রতিক ঈদুল ফিতরের ছুটি পেলে অলক বিউটি রানীকে সাভারে বাসা
রেখে ৩ দিনের কথা বলে বাড়ীতে আসেন। কিন্তুু তিন দিন অতিক্রান্ত হওয়ায় অলক সাভারে ফিরে না
যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বিউটি। শুশুর বাড়ীর লোক জনের নিকট ফোনে যোগাযোগ করতে থাকে।
শশুর বাড়ী লোকজন বিউটির সঙ্গে বিভিন্ন্ অজুহাত দেখিয়ে ব্যবহৃত ফোন বন্ধ করে দেন। উপায়ন্ত না
পেয়ে বিউটি চলে আসে অলকের বাড়ী এসে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে জানান। কিন্তুু ছেলে বাড়ীতে
না থাকা বিউটি ৭ দিনের সময় দিয়ে রংপুরে পাঠিয়ে দেন। ৭দিনের বেশি অতিবাহিত হওয়ায় বিউটি
গত রবিবার আবার স্ত্রীর স্বীকৃতি আদায়ে স্বামীর বাড়ীতে আসেন। বাধ সাধেন তার শাশুরী ও দাদী
শাশুড়ী। গলা ধাক্কা দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেন। ফলে উপায়ন্ত না পেয়ে রবিবার থেকে পাশ্ববর্তী
সালুয়া বারোয়ারী মন্দিরে আশ্রয় নিয়ে সেখানেই অর্ধাহারে অনাহারে দিনানিপাত করছে বলে বিউটি
জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সব কিছু ত্যাগ করে এখানে এসেছি, ঘরে না নিলে আত্ত্বহত্যা ছাড়া
আমার কোন উপায় নেই। মোবাইলে অলকের ভাই শ্রী শ্যামল চন্দ্র নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনা
স্বীকার করে বলেন, মেয়েটি জোড় করে আমার ভাইয়ের থেকে কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তিনি স্বেচ্ছায়
তাকে বিয়ে করেন নি। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার সংগে মোবাইলে যোগাযোগের
চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ইউপি সদস্য আব্দুল গনি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি
সমাধানের চেষ্টা করা কালীন একটি কুচক্রী মহল ভিন্ন খাতে মীমাংসার চেষ্টা করছে। অপর ইউপি সদস্য
ফারায়েজ মন্ডলের নিকট জানতে চাইলে তিনি এ সর্স্পকে কিছুই জানেন না বলে জানান। তবে আজ রাতে
মেয়েটিকে থানায় দিয়ে বিষয়টি একতরফা সমাধান হতে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী।