মহিনূল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি :
উজানে ঢল কমে আসায় বুধবার বিকাল ৩টায় তিস্তার পানি ডালিয়া
পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে নীলফামারীর ডিমলায় বুধবার দুপুরে তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের
মাঝে ত্রান বিতরন করা হয়েছে। তিস্তার পাড়ের ২হাজার ৫শ পরিবারের মাঝে
এসব ত্রান বিতরন করা হয়। পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নে তিস্তার বাধে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রান বিতরন করেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ
খালেদ রহীম। এ সময় ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা মন্ত্রানলয়ের উপ-সচিব
আমিনুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, ডিমলা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, নীলফামারী জেলা ত্রান ও
পূর্নবাসন কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন
কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন, পূর্ব ছাতনাই ইউপি
চেয়ারম্যান প্রভাষক আব্দুল লতিফ খান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার উপ-
সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম।
ডিমলা উপজেলা পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৭শ, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের
২শ ৫০জন, গয়াবাড়ী ইউনিয়নে ২শ, খালিশা চাপানি ৬শ, টেপাখড়িবাড়ী
ইউনিয়নে ২শ ৫০ ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ৫শ পরিবারকে ২ দফায়
একই সাথে ২০ কেজি চাল বিতরন করা হয়। এ সময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ
পরিবারের মাঝে ৭০ হাজার টাকার শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। শুকনো
খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরি, চিরা, গুড়, দিয়াসালাই, মোমবাতী ও ডাল।
অপরদিকে খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ও খালিশা
চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান পরিষদ থেকে এসব ত্রান বিতরন
করেন।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর বন্যা
দেখা হয়েছে। উজানের ঢল নেমে যাওয়ার কারনে পানি বিপদসীমার ১৫
সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়ে সার্বিক নজরদারী করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও
সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে উজানের ঢলে
তিস্তা নদীর পানি ডালিয়াস্থ্য তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে
প্রবাহিত হলেও বুধবার সকাল থেকে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে। বিকাল ৩টায় তা বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ
দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।