অনলাইন ডেস্কঃ
মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া মহামারির আকার ধারণ করেছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩ বিশেষজ্ঞও তাই মনে করেন। তবে এর দায়দায়িত্ব ডিএনসিসি’র নয়।তাছাড়া সিটি করপোরেশনের ড্রেন কিংবা ময়লার ডাস্টবিনে এডিস মশা জন্মায় না। এ মশা জন্মায় বাসাবাড়িতে, পরিষ্কার পানিতে, নির্মাণ সামগ্রীতে, এসি, ফুলের টব, ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার ও ডাবের খোসায়। মশা মারতে হলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা বাসাবাড়িতে গিয়ে ওষুধ দিতে পারি না।
শুক্রবার দুপুরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ তথা চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএনসিসি’র গৃহীত কার্যক্রম শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, আমরা আগাম পূর্বাভাস পাইনি। তাছাড়া এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কোনো জাতীয় নির্দেশিকা আজ পর্যন্ত প্রস্তুত করা হয়নি।
এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তৈরি করে। যে কারণে প্রথমে এ রোগের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। অনেকেই মনে করেন এ জন্য ডিএনসিসি দায়ী।মশা নিধনে সিটি করপোরেশন ব্যর্থ হওয়ায় এ রোগ ছড়িয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অনেক দোষ আছে।
তবে যেখানে ৫ দিন পরপর মশা নিধনের ওষুধ প্রয়োগের কথা, সেখানে আমরা তিন দিন পরপর প্রয়োগ করছি।আনিসুল হক বলেন, তবে মেয়র হিসেবে আক্রান্তদের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের কাজ আগের চেয়ে ১০ গুণ বেড়েছে। ক্যান্টনমেন্ট, বসুন্ধরা ও উত্তরার কিছু কিছু এলাকা আমাদের বাইরে। সব জায়গায় আমরা হাত দিতে পারি না।