অনলাইন ডেস্কঃ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘উত্তর সিটিতে চিকুনগুনিয়া মহামারি হতে পারে। সে ঘোষণা তাদের বিষয়।আমি বলবো- ডিএসসিসিতে এ রোগ মহামারির ধারে কাছেও নেই। যেটুকু আছে তা ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
শুক্রবার নগরভবনের সামনে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে স্পেশাল ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এ রোগকে মহামারি বলা যাবে না। আমার এলাকায় এ রোগের যে ব্যাপকতা রয়েছে তা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, এতদিন ৫৭টি ওয়ার্ডকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে মশক নিধন কর্মসূচি চলছিল। নতুন কর্মসূচিতে এ সিটি করপোরেশনের সব লোকবল ও যন্ত্রপাতি একসঙ্গে করে একবারে একটি অঞ্চল ধরে অভিযান চালানো হবে।১৫৬টি ফগার মেশিন নিয়ে ২৯৬ জন কর্মী এতে অংশ নেবেন।
প্রথমদিন শুক্রবার অঞ্চল-৪ এর ১১টি ওয়ার্ডে এই মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে সব অঞ্চলেই এ অভিযান চালানো হবে।এ কর্মসূচির আওতায় সকালে মশার লার্ভা নষ্ট করতে ডোবা ও নালাগুলোতে ওষুধ ছিটানো হবে। আর বিকালে উড়ন্ত মশা মারতে ব্যবহার করা হবে ফগার মেশিন। সেইসঙ্গে চলবে সচেতনতামূলক প্রচার।তবে শুক্রবার দুপুরে গুলশানে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক দাবি করেন, মশা মারতে হলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।
কিন্তু নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা বাসাবাড়িতে গিয়ে ওষুধ দিতে পারি না।এক্ষেত্রে দক্ষিণের মেয়রের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চানতে চাইলে জবাবে মেয়র খোকন বলেন, কেউ যদি আমাদের ডেকে তার বাসার ভেতরে ওষুধ দিতে বলে, আমরা যাব।চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, রোগ বালাই আসতেই পারে।
আমাদের সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে, সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবেলা করতে হবে।সাঈদ খোকন বলেন, চিকুনগুনিয়া শুধু বাংলাদেশ নয় ভারত, পাকিস্তান ও নেপালেও ছড়িয়েছে। চিকুনগুনিয়ার ভ্যাকসিন সম্পর্কে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর গত দু’সপ্তাহ আগে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিনেশন বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিকুনগুনিয়ার জন্য ট্রায়ালের কাজ চলছে। আশা করি দ্রুতই তারা সফল হবেন। তখন আমরাও এটা দেশে নিয়ে আসব।