গুরুদাসপুর প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের হাজেরা ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক ডা. আমিনুল ইসলাম সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়িতে রাতের অন্ধকারে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী ডা. আমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টা পর্যন্ত হাজেরা ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে দায়িত্ব পালন শেষে তার ভাড়া করা প্রাইভেট কারযোগে নাজিরপুর বাড়ি ফেরার পথে নাড়িবাড়ি মোড় থেকে দুটো মোটরসাইকেলে দূর্বৃত্তরা তার গাড়ি অনুস্মরন করতে থাকে। এসময় তাকে বহনকারী প্রাইভেট কারের ড্রাইভার বুঝতে পেরে দ্র”ত গতিতে গাড়ি টেনে নাজিরপুর গু”ছগ্রামের কাছে পৌছুলে পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছড়ে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলিটি গাড়ির লুকিং গ্লাসে লাগে। গুলির শব্দ শুনে নাজিরপুর বাজারের নৈশ প্রহরীরা ছুটে আসার পূর্বেই দূর্বৃত্তরা পেছন থেকে পালিয়ে যায়।
ওই ক্লিনিকের কর্মচারী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সরকার মেহেদী হাসান ছাড়াও ডা. সোহেলের গাড়িতে থাকা জাহিদুল ইসলাম ও সোহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসলে দূর্বৃত্তরা ডা. সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাতের অন্ধকারে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে গুর”দাসপুর থানা পুলিশ ঘটনার সহিত জড়িত সন্দেহে উত্তর নাড়িবাড়ির হাজী মনতাজ আলীর ছেলে আবু সাঈদ (৪০) ও মিলন (৩২) এবং জহুর”ল ইসলামের ছেলে পলাশ (২৬) কে গ্রেফতার করে থানায় আনলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলীর নেতৃত্বে ১৫/২০ জন দলীয় নেতাকর্মি ¯’ানীয় সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের চাঁচকৈড় কাচারীপাড়ার বাসভবনে স্মরনাপন্ন হলেও থানা পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে মেয়র শাহনেওয়াজ আলী জানান, হাজেরা ক্লিনিকের শেয়ার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ডা. সোহেল ও ¯’ানীয় সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মাঝে দীর্ঘদিন যাবৎ স্নায়ুযুদ্ধ চলার ফলে ক্লিনিকটি সূর্য্যরে মুখ দেখছিল না। এসময় আমরা জনস্বার্থে ডা. সোহেলের নেতৃত্বে ক্লিনিকটি চালু করে মুমূর্ষ রোগীদের সেবা দিয়ে আসার এক পর্যায়ে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলো। তিনি আরো বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যেই রাতের অন্ধকারে ডা. সোহেলের ওপর এ ধরণের হামলা চালানো হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে নিয়েছেন ¯’ানীয় সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। আমরা এ ব্যাপারে আইনগত ব্যব¯’া নেব।
যোগাযোগ করলে গুর”দাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকে গ্রেফতার করে আলোচনা সাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলা হলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বির”দ্ধে আইনগত ব্যব¯’া নেয়া হবে।