অনলাইন ডেস্কঃ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুরু হবে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ। সেই জন্যে দুই একদিনের মধ্যে ৬০ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয়া হবে।তবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের এ সংখ্যা দু-একটি বাড়তে পারে। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা করছে। রোববার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এসব কথা বলেন কমিশন সচিব মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পাঠানোর জন্য চিঠি তৈরি হয়ে গেছে। আজ বা কালের মধ্যে তা পৌঁছে যাবে। প্রতিনিধিদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, কলাম লেখক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক এবং সিভিল সার্ভিসের প্রবীণ সচিব কিংবা রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিদের চিঠি পাঠানো হবে।এছাড়াও যারা বিভিন্নভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করছেন তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে সংলাপের জন্য।
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সে বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পরামর্শ নেয়া হবে। এজন্য গেলো সংসদের ভোটের আইন ও বক্তব্যগুলো তাদের দেয়া হয়েছে, যাতে তারা প্রস্তুতি নিয়ে আসতে পারেন।কমিশন সচিব বলেন, ইসির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ করা।
এজন্য সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত নেয়া হবে।তিনি বলেন, আমরা অতীতের সংলাপের রেকর্ড বুক রাখব এবং এই রেকর্ড বুকগুলো সংলাপ শেষে প্রতিবেদন আকারে বের হবে। সেখানে সবার কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো গ্রহণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
nirইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) এর বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, রাজশাহী ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ব্যবহৃত ইভিএম আমরা ব্যবহার করব না। আমরা ভিন্ন আঙ্গিকে এগোচ্ছি। ডিভিএম নিয়ে আজো একটি প্রেজেন্টেশন আছে। আশা করা হচ্ছে, রংপুর সিটি নির্বাচনে এক বা একাধিক ওয়ার্ডে সেটি পাইলট আকারে ব্যবহার করতে পারব।