সামিউল আলম, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
খাদ্য শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর জেলা। এ জেলার
প্রতিটি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের কৃষকেরা মৌসুমী ফসল হিসাবে আমন
ধান চাষ করে থাকে। আর তাই এবারও ভাল ফলনের আশায় রোদ-বৃষ্টি ও তীব্র
গরমকে উপেক্ষা করে মাঠে নেমে পড়েছে গ্রাম বাংলার কৃষকেরা।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোর
এক পার্শ্বে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজে ঘেরা মাঠ আর মাঠ। উপজেলার
পশ্চিমে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত। আর এই সীমান্ত এলাকার কিছু
মানুষ ব্যাবসা-বাণিজ্যের সাথে যুক্ত থাকলেও অনেকেই রয়েছেন যারা
সাধারন কৃষক। এসব কৃষকেরা একটু ভাল ফলনের আশায় পরবর্তী
প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবল থেকে রক্ষা পেতে আগাম আমন ধান রোপনে
মাঠে নেমে পড়েছেন।
উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বাঁসুপাড়া গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম
জানান, “প্রতি বছরের ন্যায় আগাম আমন ধান চাষের জন্য কাজ করে
যাচ্ছি। আগাম চাষ করলে একদিকে যেমন ফলন ভালো হয়, অন্যদিকে পোকা-
মাঁকড় ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভয় কম থাকে”। জোতবানী ইউনিয়নের
চতুরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাফি জানান, “আমি ১২-১৪ বিঘা
জমিতে আমন ধান চাষ করছি। প্রতি বছর আগাম ধান চাষ করে ভালো ফলন
পেয়েছি, তাই এবারও আগাম চাষের জন্য মাঠে নেমেছি”। খাঁনপুর
ইউনিয়নের মহপুকুর গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী জানান, “আমি গত ২-
৩ বছর থেকে আগাম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি, তাই এবারও আগাম চাষ
করছি”।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান,
“এলাকাটি কৃষি ভিত্তিক এলাকা। তাই এখানকার অধিক কৃষক আমন ধান
রোপনের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। কৃষকদের যেকোন ধরনের সুযোগ-
সুবিধা বা প্রয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক সর্বদা
সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।