বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

পঙ্গুক্তকে জয়করে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলছেন প্রতিবন্ধী ইসমাইল

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

 

 

মোঃ জাকির হোসেন, পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাও) থেকে : পীরগঞ্জে ১৫ বছর বয়সী
ওয়েলডিং দোকান শ্রমিক ইসমাইল হোসেন। ২০০৪ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের
আশায় কাজের সন্ধ্যানে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় এক পা হারিয়ে
অসহায় পঙ্গুক্তের বোঝা নিয়ে ইসমাইল গরীব বাবা মায়ের ৭ সদস্যের পরিবারের
একজন সদস্য এ নিয়ে তার দুঃখের সংসার। তার জীবনে নেমে আসে আন্ধকার
আবারো শুরু করেন লাঠির উপর ভরদিয়ে চলাফেরা। কিন্তু জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে
পড়তে নারাজ তিনি। আবারো তার অদম্য ইচ্ছায় স্থানীয় বাজার ভেবড়া র্বোড
হাটে অন্যের ওয়েলডিং মেশিনের দোকানে শ্রমিক হিসেবে অল্প বেতনে কাজ করতে
শুরু করেন। ধীরে ধীরে সে অর্থ সংগ্রহ করে নিজে একটি ওয়েলডিং মেশিনের
দোকান দিয়ে পঙ্গুক্তকে জয়করে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলছেন। জানা যায়,
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বোর্ডহাট বাদলোহালী গ্রামের খিলিপান
দোকানি মোকশেদ আলীর পুত্র প্রতিবন্ধী ইসমাইল হোসেন (২৬) বাবা মায়ের
৩ছেলে ২মেয়ের মধ্যে তিনি বড়। এ ব্যপারে প্রতিবন্ধী পিতা মোকশেদ আলী বলেন,
সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারিয়ে ইসমাইল কোন কাজ করতে পারতো না। আমরা তাকে
নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এখন আর সে চিন্তা করতে হয় না বরং ঐ দোকানের
আয় রোজগার দিয়েই সংসার চলছে। ছোট ভাই কামরুল হাসান বলেন, সে সময়
আমরা ভাবতাম বড় ভাইকে সারাজীবন ভরণপোষণ দিতে হবে। এখন তার ওয়ালডিং
দোকানে আমি কাজ করছি ওকে নিয়ে আমার গর্ব হয়।
দোকানে ঝালাই কাজে আসা এনজিও কর্মী শামীম বললেন, তিনি প্রতিবন্ধী হলেও
কাজে অনেক দক্ষ মেরামত খরচ কম নেন। ইসমাইল হোসেন বলেন, তার দোকানে এখন
পাঁচ জন কর্মচারী আছেন। প্রতিমাসে তার আয় হয় ১২হাজার টাকার মতো ।
তিনি আরো বলেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে প্রতিবন্ধীতা কোন বাধা নয়, তার প্রমান
আমি নিজেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451