প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন ৮ গ্রামের
ক্ষতিগ্রস্তরা গতকাল বুধবার সকালে ক্ষতিপূরণ ও পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া চলাচলের
একমাত্র রাস্তাটি মেরাতমসহ ৮দফা দাবিতে রাস্তার পানির মধ্যেই বিক্ষোভ-সমাবেশ
করেছে।
৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, কয়লাখনির অধিগ্রহণকৃত এলাকার বাহিরের
গ্রামগুলোর ঘরবাড়ি ও জমিজমায় ফাটল ও ভূকম্পন বন্ধ করে ইতোমধ্যে যেসব ঘরবাড়ি ও
জমিজমায় ফাটল ধরেছে সেগুলোর জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, পানির নিচে তলিয়ে
যাওয়া ফুলবাড়ী বড়পুকুরিয়া হয়ে খয়েরপুকুরের রাস্তাটি চলাচলের যোগ্য করাসহ
স্থায়ীভাবে ওই রাস্তার বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা, খনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেকারদেও
যোগ্যতা অনুযায়ী কয়লাখনিতে চাকরি প্রদান, খনিতে ভূগর্ভস্ত পানি উত্তোলনের ফলে
ভূগর্ভস্ত পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় খনি সংলগ্ন গ্রামগুলোর টিউবওয়েলগুলো
পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। ওইসব গ্রামগুলোতে পানির ব্যবস্থা করা, খনি কর্তৃপক্ষ
কর্তৃক আন্দোলনকারিদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার, কয়লাখনির সি.এস.আর
ফান্ডের অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, এলাকাবাসী ও শ্রমিকদের মাঝে ব্যয় করা, সংশ্লিষ্ট
ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্স ও রয়্যালিটি সময়মতো পরিশোধ করা এবং দক্ষিণ পলাশবাড়িতে
নির্মিত ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এলাকার বাসাবাড়ি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও ড্রেনসহ বিরাজমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি-দাওয়া নিয়ে স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সংগঠন বড়পুকুরিয়া
জীবন পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষা কমিটির ব্যানারে বড়পুকুরিয়া পাতিগ্রাম, জিগাগাড়ি,
পাথরাপাড়া, বাঁশপুকুর, শিবকৃষ্ণপুর, হামিদপুর, কাজিপাড়া ও সর্দারপাড়া এই ৮
গ্রামের দুই সহ¯্রাধিক নারী ও পুরুষ কয়লাখনি সংলগ্ন বড়পুকুরিয়া বাজারে
বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে।
বড়পুকুরিয়া জীবন পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষা কমিটির মো. মশিউর রহমান বুলবুলের
সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো.
লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ মামুন, প্রচার সম্পাদক
সাবেব ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম, মো. সুলতান, আব্বাস আলী, আব্দুল খালেক
দিনার আলী, শাহজাহান আলী প্রমূখ।
বড়পুকুরিয়া জীবন পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষা কমিটির মো. মশিউর রহমান বুলবুল,
সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ
মামুন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ৮ গ্রামবাসীর ঘোষিত ৮দফা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে
কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ পূরণে ব্যর্থ হলে আগামীতে কয়লাখনি ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলন
সংগ্রাম গড়ে তোলা হবে। এতে কয়লাখনির উৎপাদন ও উন্নয়নের কোন প্রকার
বিঘœতা সৃষ্টি হলে এ দায়দায়িত্ব খনি কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।#ৃ