বিশেষ প্রতিনিধি-হেলাল শেখ ঃ
ঢাকার আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকার উত্তর গাজিরচট বিস্কুট কিনতে যাওয়ায় মুদি দোকানের ভিতরে
ব্যবসায়ী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে প্রথম শ্রেণি পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রী। এ ব্যাপারে আশুলিয়া
থানায় মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। প্রতিবাদ ও মামলা করায় উল্টো বিভিন্ন হুমকির শিকার
হয়েছেন ভূক্তভোগীর পরিবারের লোকজন। ধর্ষক তার নিজের দোকানে আটকিয়ে রেখে ওই শিশুকে একটি রুমে
মুখ বেধে জোড়পূর্বক ভাবে ধর্ষণ করেছে কামাল নামের মুদী ব্যবসায়ী।
গত রবিবার এ ব্যাপারে ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা মহন বাদী হয়ে ধর্ষক কামালের বিরুদ্ধে আশুলিয়া
থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মহন জানান, রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে তার ভাড়া বাড়ি থেকে একই এলাকায়
কালাম এর দোকানে বিস্কুট কিনতে গেলে কৌশলে মেয়েটিকে তার দোকানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে
দোকানের সাটার বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে, এসময় মেয়েটির চিৎকারে
আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে নরপিশাস কামাল হোসেন পালিয়ে যায়। এরপর মেয়েটির বাবা ও
স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, এরপর ধর্ষিতার মা-বাবা ও স্থানীয় একজন ডাক্তার মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টোফ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন। এ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন
আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ধর্ষক কামাল হোসেন আশুলিয়ার গাজিরচট এলাকার আবুল মাঝির ছেলে।
তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তারা আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে
৬০টি রুম স্থাপন করেছে বলে মানুষের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন যে ৬০টি রুমের ভাড়া পাই যত টাকা
লাগে এই ধর্ষণের মামলা মিমাংসা করব। ওই ধর্ষকের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষকসহ ৪ ভাই ও বাবাকেও পাওয়া
যায়নি। কামালের মা আরুজা বেগমকে পাওয়া গেলেও তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে এ
প্রতিনিধিকে জানান। তিনি আরও বলেন, তার মেয়ের ডেলিভারি হয়েছে তাই হাসপাতালে ছিলেন।
ধর্ষণের দিন গত ০৯/০৯/২০১৭ইং দুপুর থেকে ধর্ষক কামাল এর পরিবারের পুরুষ লোকজনরা গাঢাকা
দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল আউয়াল
সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার
বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই শিশুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।