অনালাইন ডেস্কঃ
সিলেট নগরীর শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগকর্মী জাকারিয়া মো. মাসুম (২২) নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। সন্ধ্যায় ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মাসুম ছাত্রলীগের সুরমা গ্রুপের কর্মী বলে জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা। নগরীর কামালগড় এলাকার বাসিন্দা মাসুমের বন্দরবাজারে জেডি স্পোর্টস নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাঁকে ছুরিকাঘাতকারীরা এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা টিটু চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে টিটু চৌধুরীর অনুসারী কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী মাসুমের ছোট ভাই খালেদকে শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকায় আটক করে। তারপর তারা খালেদের মাধ্যমে মাসুমকে খবর দিয়ে আনে। মাসুম আসার পরপরই তাঁকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানান, মাসুমের দুই উরুতে ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুছা জানান, হাসপাতালের রেজিস্ট্রি অনুযায়ী মাসুমকে ভর্তি করা হয়েছে ৩টা ৪০ মিনিটে। এর কিছুক্ষণ আগে ওই যুবককে শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকায় কয়েকজন যুবক মিলে কুপিয়ে আহত করে। সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল বাসিত রুম্মান বলেন, নিহত যুবক ছাত্রলীগে সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না এবং কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে এ ব্যাপারে কিছু জানি না। বিস্তারিত খোঁজ না নিয়ে কিছু বলা যাবে না।
তবে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী বলেন, মাসুম ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করেন তিনি।