খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন, চাল নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চাল নিয়ে চালবাজি করছেন।অথচ এবারের বন্যায় ফসলহানি হলেও এক কোটি ৯২ লাখ টন ধান ঘরে ওঠেছে।
চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।মজুতদার, আড়তদার ও মিল মালিকসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এখনই ভালো হয়ে যান, সময় আছে। আপনারা যেভাবে চালের দাম বাড়াচ্ছেন, যেভাবে সিন্ডিকেট করে চালবাজি শুরু করেছেন, চাল নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন, একটা বিভ্রাট সৃষ্টির চেষ্টা করছেন- তা কোনো অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না। এখনই শেষ সুযোগ আপনাদের- ভালো হয়ে যান।তিনি বলেন, চাল আমদানি শুল্ক ২৬ শতাংশ কমিয়ে দুই শতাংশে নামানোর পরেও চালের বাজারে অস্থিরতা কাটছে না। এরপর থাইল্যান্ড, ক্যাম্বোডিয়া ও মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির চুক্তি করেছে সরকার।
এরইমধ্যে থাইল্যান্ড দুই দফায় আমদানির চাল এলেও বাজারে দাম কমছে না।বর্তমানে দেশে এক কোটি মেট্রিক টনের ওপরে খাদ্য মজুদ আছে। এই চাল কৃষকদের ঘরে আছে, আড়তদার ও মজুদদারদের হাতে আছে। সরকারের খাদ্য গুদামগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য মজুদ আছে। শিগগিরই আরো আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আসছে। এ অবস্থায় দেশে কোনো চাল সংকট নেই বলেও দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী।মন্ত্রী জানান, আগামী রোববার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হবে।