অনলাইন ডেস্কঃ
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলোও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা যেন আরো বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে শব্দ দূষণ যা সহনীয় মাত্রার চেয়ে দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি। ঢাকার রাস্তায় এমন চিত্র প্রায়ই দেখা যায় ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থেমে আছে তারপরও এক নাগাড়ে হর্ন বাজছে। আর সিগন্যাল ছাড়লে তো কথাই নেই। যেন বন্ধন মুক্তির খুশিতে কার কতো উচ্চ শব্দের হর্ন আছে তা জানান দিতে দিতে সামনে এগুনো।
এসব গাড়িতে যেসব হর্ন ব্যবহার হচ্ছে তার বেশিরভাগই হাইড্রোলিক হর্ন। সাধারণ হরণের চেয়ে যার আওয়াজ কয়েকগুণ বেশি। এ হর্ন থেকে মারাত্মক শব্দদূষণ হলেও এগুলো ব্যবহারে যুক্তির শেষ নেই। এদিকে মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩ অনুযায়ী, দেশে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু আইনের অবস্থা, ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ এর মতো।
২০১৪ সালের অক্টোবরেও একবার আইনটি বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। এরপর গেলো ২৩ আগস্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধের নির্দেশ আসে উচ্চ আদালত থেকে। পাশাপাশি যেসব যানবাহনে এই হর্ন পাওয়া যাবে সেগুলো জব্দেরও কথা ছিল নির্দেশে।
কিন্তু এক মাস হতে চললেও পরিস্থিতির সামান্যও পরিবর্তন হয়নি। তবে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, এ ধরণের হর্ন বন্ধে পুলিশ জোরালোভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিও জরুরি।