টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
স্মৃতি হাতড়ালে এখনো যে বিষয়টা অস্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে,
শৈশবের অবুঝ চোখে সেইকালে বুঝে উঠতে পারতো না, কারো
বাড়িতে সন্তান জন্ম নিলে শাড়ি পরা সত্ত্বেও বিচিত্র সাজ-
পোশাক নিয়ে কোত্থেকে যেসব চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়
ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারণে জন্মগত যৌন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি,
যাদের জন্মপরবর্তী লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়, মূলত
তারাই হিজড়া।
কিন্তু এই এক ব্যাতিক্রম ধরনের হিজড়া আল-আমিন। বাড়ি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গিলাশড় গ্রামের
মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (২৬),হিজড়া না হয়েও
হিজড়ার বেশে দলে কাজ করছেন।
স্থানীয়রা বলেন,আল-আমিনের স্ত্রী সন্তান রয়েছে,স্ত্রীকে বিদেশে
পাঠিয়ে দিয়ে ৫ বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে হিজড়াদের দলে
যোগ দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা উপার্যন করছে।
সাগরিকা হিজড়া বলেন,ওদের দলের কেওই হিজড়া না,তবু মানুষকে
ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ওদের দলে ৩ জন রয়েছে,একজনের
বাড়ি উপজেলার টেপিরবাড়ি গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে সাহাব
উদ্দিন,বর্তমানে শাহানাজ নামে পরিচয়। আল-আমিন বর্তমানে
জয়া নামে পরিচয়,নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রা উপজেলার মৃত ইদ্রিছ
আলীর ছেলে রাকিব হাসান,বর্তমানে নুপুর নামে পরিচয়,তারা
সবাই নয়নপুর একটি বাসায় ভাড়া থাকেন সবাই।
ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার কথা অশিকার করে শাহানাজ হিজড়া
বলেন,আমার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে,আমার পুরুষঙ্গ নষ্ট হয়ে
যাওয়ায় আমি এই পথ বেছে নিয়েছি। জয়া নামে হিজড়া
বলেন,আমার স্ত্রী কোথায় আছে তা আমি জানিনা,আমার ৫বছর
বয়সের কন্যা সন্তান রয়েছে। বাবা মারা যাওয়ার পর এলাকাতে আমার
বসত ভিটা কেড়ে নিয়ে ভের করে দিয়েছে। তাই ওদের ভয়ে আমি
হিজড়া সেজে থাকি।