এম ইসলাম সুজন,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে প্রায় শেষ প্রতিমা ও পুজা মন্ডপ
তৈরীর কাজ। এবার এ জেলায় ৮৩৬টি মন্ডপে পুজা অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে।
এর মধ্যে নীলফামারী সদরে ২৭৮টি, ডিমলায় ৭৭টি, ডোমারে ৯২টি,জলঢাকায়
১৬৫টি, কিশোরগঞ্জে ১৪০টি, সৈয়দপুরে ৮৪টি পুজা মন্ডপ রয়েছে। তাই ব্যস্ত
সময় পার করছেন, এ অঞ্চলের প্রতিমা শিল্পীরা।
জানা যায়, কাঁদা মাটি,খড়,কাঠ,দড়ি আর বাঁশ নিয়ে দিন কাটছে তাদের।
প্রতিমার প্রত্যেকটি অনুষঙ্গ নিখুঁত ভাবে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে
ফ্ধসঢ়;ুঁটিয়ে তুলেছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্টি পুজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাম্বলীদের এ মহোৎসব
শুরু হতে যাচ্ছে। চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
রংপুর বিভাগীয় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাড. রথিস চন্দ্র ভৌমিক ও
জেলা পুজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. অক্ষয় কুমার রায় বলেন, এবার জেলায়
৮৩৬ টি মন্ডে পুজা অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠিপুজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে, ২৭
সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ২৮ সেপ্টেম্বর অষ্ঠমী, ২৯ সেপ্টেম্বর নবমী, ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া
দশমীতে প্রতিমা বির্সজনে শেষ হবে পাঁচদিনের দুর্গোৎসব।
জেলা শহরের হাড়োয়া দেবির ডাঙ্গা মন্দিরের সভাপতি নরেশ চন্দ্র রায় বলেন, গতবারের
চেয়ে এবারের পুজা আরো বেশি জাঁকজমকভাবে উৎযাপন করা হবে। এ ব্যাপারে
সকল প্রস্ততি শেষ সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা এটিএম আখতারুজ্জামান এই প্রতিবেদককে বলেন, এ বছর
শারদীয় দুর্গা পুজায়, সরকারের পক্ষ থেকে ৪১৮ মেট্রিকটন চাল (জি আর) বরাদ্দ
পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ডোমারে ৪৬ দশমিক ৫মেট্রিকটন, ডিমলায় ৩৮ দশমিক
৫ মেট্রিকটন, জলঢাকায় ৮২ মেট্রিকটন, কিশোরগঞ্জে ৭২ মেট্রিকটন,
সৈয়দপুরে ৪০ মেট্রিকটন, নীলফামারী সদরে ১৩৯ মেট্রিকটন। প্রত্যেক পুজা
মন্ডপে ভক্তদের ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।এবং খুব দ্রুত বরাদ্দ বন্টন করা
হবে। এছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং ইউপি চেয়ারম্যানগন পুজা মন্ডপে
অনুদান প্রদান করবে বলে জানান তিনি। এদিকে, নীলফামারী পৌরসভার হাড়োয়া
মহল্লার দেবির ডাঙ্গা মন্দির, মিলন পল্লী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, শিব মন্দির, বড়
বাজার হাড়োয়া পুজা মন্ডব, কালিতলা পুজা মন্ডব, ডাইল পট্টি পুজা মন্ডপ, সদরের
বাহালী পাড়া জমিদার বাড়ী পুজা মন্ডপও প্রস্তুত।
এ ব্যপারে মিলন পল্লী সার্বজনীন দুর্গা মন্ডবের পুরোহিত মিন্টু কুমার
ভট্টাচার্য বলেন, শ্রাবনের ২৫ তারিখ থেকে প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন।
কাজ প্রায় শেষ। কিছু কিছু স্থানে শুধুমাত্র অলংকার পড়ানো বাকী
এদিকে শারদীয় দুর্গাৎসব উৎযাপনের লক্ষে জেলায় এরই মধ্যে কঠোর নিরাপত্তা
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কার্যলায় থেকে
থানা পর্যায়ে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে, নীলফামারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খাঁন বলেন, এ বছর হিন্দুদের
ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সব ধরনের
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো
শারদীয় দুর্গাৎসব উপলক্ষে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।