সোহেল রানা (হিলি) দিনাজপুর সংবাদদাতাঃ
দিনাজপুরের সর্বদক্ষিনের ৪ উপজেলা (হাকিমপুর, বিরামপুর,
নবাবগঞ্জ,ঘোড়াঘাট) নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদীয় এলাকা-১১ বা
দিনাজপুর-৬ আসন। এই আসনটিকে কোন দলের ঘাঁটি বলা যাবে না।
বিগত নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই আসনে ১৯৯১
সালের নির্বাচনে জামায়াতের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী
লীগের মোস্তাফিজুর রহমান, ২০০১ সালে চার দলীয় জোটের আবারও অধ্যক্ষ
আজিজুর রহমান, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ড. আজিজুল হক এবং
সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শিবলী সাদিক সংসদ
সদস্য নির্বাচিত হন। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী নিয়ে চলছে চার উপজেলায় নানা
আলোচনা-সমালোচনা। কে কোন দলের প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে অন্য কোন
দলের নেতাকর্মীদের মাঝে তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও আওয়ামী লীগে
চলছে মনোনয়নের লড়াই।এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে
নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান। গত ৩
বছর ধরে মাঠে রয়েছেন আতাউর রহমান। ব্যক্তিগত উদ্যোগে পালন করে
আসছেন জাতীয় শোক দিবস, গ্রেনেড হামলা দিবসসহ বিভিন্ন
জাতীয় দিবসগুলো। সম্প্রতি বর্তমান সরকারের সাফল্য, অর্জন ও উন্নয়ন
জনগণের মাঝে তুলে ধরতে আওয়ামী লীগের সবগুলো মনোনয়ন প্রত্যাশী
প্রার্থী এলাকায় ঘুরছেন।চার উপজেলায় মোড়ে মোড়ে দেখা যাচ্ছে
এইসব মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের ঈদ, পূজা,নবর্বষের শুভেচ্ছা ব্যানার ও
ফেস্টুন। এদিকে ঈদুল ফিতেরর পর আতাউর রহমানের নেতৃত্বে বিশাল মোটর
সাইকেল র্যালী ৪ উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। আতাউর রহমান দৈনিক
চাঁদনী বাজারকে জানান, তিনি দিনাজপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের
প্রার্থী হিসেবে ৪ বার আবেদন করেন। আশা করি এবার আওয়ামী লীগ
আমাকে মূল্যায়ন করবে। সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকও একই উপজেলা
আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ও চার উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন করে
যাচ্ছেন।এছাড়া আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম
শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি
আলতাফুজ্জামান মিতা,তিনিও চার উপজেলায় ব্যাপক গণসংযোগ
চালাচ্ছেন। সাবেক সংসদ সদস্য ড. আজিজুল হক। অন্যদিকে বিএনপি
থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক লুৎফর
রহমান মিন্টু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি ও ড্যাব নেতা ডাঃ জাহিদ।
তবে জোটগত নির্বাচন হলে এই আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হতে
পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে জামায়াত জোটের প্রার্থী হতে পারেন
আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জেলা জামায়াতের আমির। তার বাড়ি হাকিমপুর
উপজেলায়। গত আগষ্ট মাসে বিরামপুর ও নবাবগঞ্জে বিএনপির সদস্য
সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ড্যাব
নেতা ডাঃ জাহিদ। সেসময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা দিনাজপুর-৬ আসনটিতে
দলীয় প্রার্থী দেয়ার দাবি জানান।তা না হলে আসনটি হাতছাড়া হওয়ার
আশংকা করেন তারা। এছাড়াও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি দেলোয়ার
হোসেন জাতীয় পার্টিও থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি বর্তমান
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের বড় আব্বা।