বিশেষ প্রতিবেদক-হেলাল শেখ ঃ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের
বিরুদ্ধে ৩৪৩৬টি মামলা ও ২০ লাখ ৩০ হাজার ১৯৫ টাকা জরিমানা করেছেন। এতে রাজধানীর
ট্রাফিক পুলিশ বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্তা ফিরে আসছে বলে অনেকেরই অভিমত।
অন্যদিকে ঢাকা জেলা ট্রাফিক এর সাভার ও আশুলিয়ায় বিভিন্ন যানবাহন থেকে পুলিশের দালাল
কর্তৃক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর জানা গেছে, এ অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন রোড থেকে ৬৪ টি
গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৪৮ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। সুত্র মেট্রোপলিটন পুলিশ অনলাইন নিউজ
পোর্টাল। ২৬ সেপ্টেম্বর’২০১৭ দিনভর ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা
করে এসব মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয় বলে জানা যায়। মঙ্গরবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে
উল্টো পথে গাড়ি চালানোর কারণে ৪৪৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক
বিভাগ। এ অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে বলে ট্রাফিক পুলিশ সুত্র জানান।
বিশেষ করে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করার দায়ে ৯১টি, হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহার করার জন্য
১২টি এবং মাইক্রোবাস কালো গ্লাস লাগানোর জন্য ১৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া
হয়েছে। এ ছাড়াও এ সময় ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ৮৮৮টি
মামলা ও ৩১টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অন্যদিকে ঢাকা জেলার সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন রোডে লাইসেন্সবিহীন গাড়ির অভাব নেই বলে
স্থানীয়রা জানান, তারা অনেকেই বলেন, প্রতিদিন শত শত গাড়ির মামলা না দিয়ে ট্রাফিক
পুলিশের কিছু অফিসার কর্তৃক গাড়ি আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ও
তথ্য রয়েছে। লেগুনা, মাহিন্দ্র ও অটো গাড়ি এবং কিছু মিনিবাস, ট্রাক থেকে মাসোরা
(মাসিক) চাঁদা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। মামলা না করায়-সরকারের প্রতি মাসে লাখ লাখ
টাকা লোকসান করছে এক শ্রেণীর অসাধু পুলিশ অফিসার। সুত্রে জানা যায়, সাভার আশুলিয়ায়
পুলিশের দালাল জাকির, মেহেদীসহ ৪ থেকে ৫জন লাইনম্যান অবৈধভাবে টাকা কালেকশন করেন
এবং এই টাকা বিভিন্ন মহলে ভাগ দিতে হয় বলে সুত্র জানায়। জানা গেছে, সাভার ও আশুলিয়ায়
সিএনজি থেকে ৩০০, মাহিস্ধসঢ়;দ্র এবং লেগুনাসহ অন্যসব যানবাহন থেকে প্রতি মাসে এক
একজনের কাছ থেকে ২৫০০-৩০০০টাকা নেয়া হয়। প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ অবৈধ যানবাহন
চলাচল করে সাভার আশুলিয়ায়।
বিশেষ করে ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের প্রতি কঠোর হওয়ার রির্দেশনাও রয়েছে ডিএমপির
সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়ার। তিনি ট্রাফিক বিভাগের সকল
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন- ট্রাফিক আইনকে যেই ব্যক্তিই অমান্য করুক তার বিরুদ্ধে
আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে-কোনো ছাড় নেই। অন্যদিকে ঢাকা জেলা ট্রাফিক- সাভার এর (টি
আই ১) এ কর্মরত পুলিশ অফিসার আবুল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি আইন
অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যে সকল মামলা করা হয়েছে সে তথ্য না দেয়ার অজুহাতে বলেন, আমার শরীর
খারাপ। বিভিন্ন গাড়ির মালিক ও চালকের দাবি-তারা বলেন, আইনকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু
মাসিক টাকা দেয়ার পরও আমাদের বিভিন্ন সময় রোডে চাঁদা দিতে হয় কেন? সরকার এসব
চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে জনগণ আইনকে আরও সম্মান ও শ্রদ্ধা করবে। বৈধ কাগজপত্র
দেয়ার ব্যবস্থা করলে জাতির জন্য মঙ্গল।