ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ- ঝালকাঠির রাজাপুরে সড়ক ও জনপদের রাজাপুর-কাঁঠালিয়া এবং পুটিয়াখালি-চল্লিশ কাহনিয়া এ দুটি সড়কের ২.৭৮ কি.মি. এলাকার ১৬ লক্ষ টাকার সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ সড়ক ২টির সংস্কার কাজে দুর্নীতির কারনে সঠিকভাবে সংস্কার না হওয়ায় সংস্কারের কিছুদিন যেতে না যেতেই বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন ¯’ানে পূর্বের ন্যায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে একাকার হয়ে গেছে। সড়ক ও জনপদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজাপুর-কাঠাঁলিয়ার আমুয়া পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়কের রাজাপুর উপজেলার বাইপাস সড়ক থেকে আংগারিয়া খানকা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১.৩ কি.মি. গত রমযানের সপ্তাখানেক পূর্বে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এবং উপজেলার গালুয়া বাজার থেকে চল্লিশ কাহনিয়া পর্যন্ত পীর মোয়াজ্জেম হোসেন দীর্ঘ ৯ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে পুটিয়াখালির মীরের হাটের অংশের ১.৭৫ কি.মি. গত রমযানের মধ্যে ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৪৬ টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ভাগে মেরামত করা হয়েছে। একাধিক ¯’ানীয়রা অভিযোগ করে জানান, সংস্কার কাজে ঠিকাদারের দুর্নীতির কারনে সঠিকভাবে সংস্কার না হওয়ায় সংস্কারের কিছুদিন যেতে না যেতেই বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন ¯’ানে পূর্বের ন্যায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে একাকার হয়ে গেছে। বর্তমানে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীবাহি বাস, মালবাহি ট্রাক, টেম্পো, রিক্সা ও মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হ”েছ। ওইসব ¯’ানে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা, আহত হ”েছন যাত্রিরা। পুটিয়াখালির মীরের হাট থেকে চল্লিশ কাহনিয়ার সড়কটির পুটিয়াখালি বাজার এলাকায় কয়েকদিন আগের মেরামতের ¯’ানে গর্ত হয়ে কর্দমক্তের সৃষ্টি হয়েছে। ¯’ানীয়রা আরও জানান, বিভিন্ন ভাগে কাজের নিয়ম থাকার অযুহাতে ওই সড়কের যে সকল ¯’ানে বড় বড় গর্ত ছিল সে সব ¯’ান বাদ দিয়ে ছোট গর্তের ¯’ান মেরামত করা হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই তা আবার পূর্বের মত গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ¯’ানীয় যানবাহনের মালিক শ্রমিকরা ইট দিয়ে কোন রকম যান চলাচলের ব্যব¯’া করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এ সড়কগুলো কিছুদিন পর নতুন করে আবার সংস্কারের জন্য বড় ধরনের বরাদ্দ আসছে। সেজন্য এ বারের বরাদ্দের কাজ কোনমতে করে করেছে। সংস্কার কাজ বাস্তবায়নকারী ঝালকাঠির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিবরিয়া বিল্ডার্সের সত্ত্বাধিকারী শিমুল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সড়কটিতে ভারি যানবাহন চলাচল বেশি করায় এবং বর্ষার কারনে সংস্কার করা অংশের কিছু জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সড়কটি কমপক্ষে ২ ইঞ্চি পুরো ঢালাই দেয়া উচিত কিন্তু বরাদ্দ কম হওয়ায় মাত্র আধা ইঞ্চি পুরো করে সংস্কার করা হয়েছে, এতে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান জানান, ওই সড়ক দিয়ে তাকে বাড়ি যাওয়া-আসা করতে হয়। সড়কটি সঠিকভাবে সংস্কার না করায় সংস্কারকৃত সড়কের বিভিন্ন ¯’ানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে ওই সব এলাকার জনমনেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠির সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম হামিদুর রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি না জেনে এ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবো না। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কাছ থেকে জানুন। পরে যোগাযোগ করা হলে ঝালকাঠির সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, নিয়মানুযায়ী ওই সড়কের কাজ বিভিন্ন ভাগে মেরামত করা হয়েছে। ওই সড়ক মেরামত করার জন্য চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যায়নি এবং বর্তমানে টানা বৃষ্টির কারনে সড়ক ২টি সামান্য ক্ষতি হতে পারে। আবার বরাদ্ধ এলে মেরামত করা হবে।