হেলাল শেখ, ঢাকার : ঢাকার সাভারও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় যেখানে সেখানে ওষুধের দোকান করে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু দোকানদার। কোনো প্রকার ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এসব দোকানে ওষুধ বিক্রি করতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার ০৫/১০/২০১৭ সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সাভার উপজেলায় প্রায় দুই হাজার (২০০০) ওষুধের দোকান রয়েছে, এর মধ্যে আশুলিয়ায় প্রায় ৯০০/ দোকান। এসব ওষুধের দোকানের বেশিরভাগই ড্রাগ লাইসেন্স নাই। অনেকেই ডাক্তার না হয়েও রোগী দেখছেন বলে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে, একটি চক্র ওষুধের দোকান দিয়ে সমিতি করে ১০০ থেকে ২০০ দোকানদারকে সদস্য করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বিক্রি করছেন। বিশেষ করে নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি করতে কথিপয় ডাক্তার যেসব ওষুধ লিখছেন তা ওই কোম্পানীর না হলে চলবে না বলে রোগীকে জিম্মি করে অবাধে অবৈধ ওষুধ বিক্রি করছেন। এর সাথে প্রভাবশালী মহল প্রাইভেট হাসপাতাল দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে জনমনে। অনেকেই লেখাপড়ায় এসএসসি পাস না করেও ওষুধের দোকান করে তারাও রোগী দেখছেন, ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি করার নিয়ম আছে কি না? সবমিলেয়ে অনিয়ম, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ যদি হয় জীবন নাশের মূলত কারণ, এ যেন দেখার কেউ নেই। বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হলে ভালো হবে বলে অভিমত অনেকের। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ এবং ভুয়া ডাক্তারের হাত থেকে বাঁচতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি বলে মনে করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।