জাকির হোসেন,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও-৩ আসন
পীরগঞ্জ রাণীশংকৈল বাসীর সুখ দুঃখের সাথী বঙ্গবন্ধু জয়বাংলালীগের কেন্দ্রীয়
সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকাস্থ জয় ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সুজাউল করিম
চৌধুরী বাবুল ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক
কাজ করছেন। তিনি একজন সফল রাজনীতিক না দেখলে বিশ্বাসই হতো না।
কয়েকদিন আগে প্রায় ১ হাজার মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, মিনি
ট্রাক্টরসহ ৩ হাজারেরও অধিক জনগণের একটি গাড়ি বহর। পরক্ষণে শুনতে পেলাম
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সুজাউল করিম বাবুল আসছেন। আর
এজন্যই জনগণ তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ছুটে গিয়েছিলেন ৮০
কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে। পরদিন আমিও গেলাম ঐ
নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করে বললাম আমি
দৈনিক ভোরের দর্পণ প্রতিনিধি, তিনি হেসে উঠলেন উঠে বললেন আমি
অধ্যক্ষ মোঃ সুজাউল করিম চৌধুরী বাবুল আমার নিজ এলাকায় কিছু
উন্নয়নের কাজ করতে এসেছি। সারাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ
রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জের জনগণ যাকে এক নামে চিনেন। বলে দিতে হয় না কে
এই সুজাউল করিম। কেন্দ্রীয় নেতা হলেও এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গনে
দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ তিনি। রাজনীতির ময়দান থেকে তাকে ছুড়ে ফেলা
হয়েছিল বহুবার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে
মিথ্যা মামলায় একাধিকবার জেল খেটেছেন এই ত্যাগী নেতা। ২০০৪ সালের
২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলেন,মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে
গিয়ে সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানে উঠে এসেছেন তিনি। মেধাবী ছাত্রও,
কলেজে নিষ্ঠারসহিত অধ্যাপনা করেন। ব্যবসায় মন দেন আর এই ব্যবসা
রাজনীতি রাজধানী ঢাকা সহ নিজ জন্মস্থান এলাকায় তাঁকে পরিচিতি করে
দিয়েছেন ভিন্নভাবে। ব্যবসায় উপার্জিত টাকা ঢেলেছেন নির্বাচনী
এলাকা পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈলে। রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির,
গীর্জা সংস্কার এতিমখানা ও গরীব দুঃখী মানুষের সহযোগীতায় করেছেন
প্রচুর অর্থ ব্যয়। অর্জন করেছেন খ্যতি ও সুনাম। এমপি না হয়েও আওয়ামী
লীগের সফল রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ সুজাউল করিম। তাঁর পুরো নাম মো: সুজাউল
করিম চৌধুরী বাবুল। সংক্ষেপে ডাকা হয় বাবুল নামে। জন্ম ১৯৬৭ সালের ২২
জানুয়ারি। তাঁর পিতা রোজাউল করিম চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
মাতার নাম রাহেল চৌধুরী। বাবুল চৌধুরীর শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়ি
রাণীশংকৈলের গোগরে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে বাবুল ছিলেন দুরন্ত।
পড়ালেখায় ছিলেন যেমনি মেধাবী, তেমনি তিনি দুরন্তপনায় মাতিয়েছেন
গ্রামেও। রাণীশংকৈল উপজেলার গোগরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
তিনি পড়ালেখা শুরু করেন। ঐ বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাল শিক্ষকদের সানিধ্যে তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে।
শিক্ষকদের ভালোবাসায় তিনি আগামীদিনের পথ খুজে পান সহজেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম উদ্দীন স্যার পড়ার ফাঁকে ফাঁকে নীতি কথা
বলতেন। সেই নীতি কথা এখনো তাঁর কানে বেজে উঠে। স্যারের নীতিবাক্য
তাঁর চলার পথে পথ দেখায়। লক্ষ্য ছিল রংপুর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে
(বর্তমান রংপুর ক্যাডেট কলেজ) ভর্তি হওয়ার, ভর্তিও হয়েছিলেন সেখানে।
১৯৮৩ সালে ভর্তি হন ঐ কলেজেই। সেখান থেকে ১৯৮৫ সালে এইচ.এস.সি
পাশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয় নিয়ে অনার্সে ভর্তি
হন। ১৯৮৯ সালে অনার্স ও ১৯৯০ সালে মাষ্টার্স শেষ করে অধ্যাপনা শুরু করেন।
ব্যবসায়ী হবেন এমন টার্গেট ছিল তাঁর। শুরু করেন ঠিকাদারি ব্যবসা।
অফিস নেন ঢাকায়, বিয়ে করেন ১৯৯৫ সালে। স্ত্রী খাদিজাতুন কোবরা
চৌধুরী সিরাজগঞ্জ কাজীপুরের মেয়ে। তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। ৭১’র
মুক্তিযুদ্ধের কথা ভেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হবেন বলে ছাত্রলীগে
জড়িয়ে পড়েন ১৯৮০ সালে। কলেজে ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভিপি নির্বাচিত
হন। ১৯৯১ সালে যুবলীগের সহশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৫
সালে আওয়ামী লীগের মূল দলে থেকে সজিব ওয়াজেদ জয় ফাউন্ডেশনের
চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক
নির্বাচত হন তিনি। রাজনীতির ৩৮ বছরে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেন।
তবু নীতি ও আদর্শের কথা ভেবে দল ত্যাগ করেননি। অনেকেই তাঁর কাছে
ছুটে যান দলের প্রয়োজনে, তারা পরামর্শ নেন। কি করতে হবে, কি করা উচিত
? এ সব নিয়ে আলোচনা করেন। তবে হাল ছেড়ে দেননি। এ ব্যপারে তিনি
মানবজমিনকে বলেন, দলের প্রয়োজনে রাজনীতি করি আওয়ামী লীগে আছি
থাকবো। অপরদিকে রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জের জনগণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে
নতুন মুখ দেখতে চায়। আগামী নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে অধ্যক্ষ
মো: সুজাউল করিম চৌধুরী বাবুল-কে মনোনয়ন দেওয়া হলে এক-তৃতীয়াংশ
ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করবেন বলে এলাকার রাজনীতি ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ
জনগণ মনে করেন।