বুধবার দুপুরে শহরের সদর রোডে জেলা ড্রাগ কেমিস্ট অ্যান্ড ফার্মাসিস্ট সমিতির সদস্যরা এ ঘটনা ঘটান বলে সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান।
“ছেলেটি চুরি করতে পারে। তাই বলে কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারে না।”
পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার এবং ড্রাগ কেমিস্ট অ্যান্ড ফার্মাসিস্ট সমিতির কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছে বলে জানান ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শী মোকাম্মেল হক, শ্যামল ও সৈকত জানান, শহরের সদর রোডের উত্তরণ ফার্মেসিতে ওই যুবক ওষুধ কিনতে গেলে তাকে দোকানে রেখে বিক্রেতা মিজান বাইরে যান। এসময় যুবকটি প্রায় তিন হাজার টাকার ওষুধ নিয়ে কৌশলে পালাতে গেলে দোকান কর্মচারীরা তাকে ধরে মারধর করে মালিক সমিতির হাতে তুলে দেয়।
সেখানে তাকে আবার মারধর করে গলায় ‘আমি চোর’ লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বৃষ্টির মধ্যে সারা শহর ঘোরানো হয় বলে জানান তারা।
জেলা ড্রাগ কেমিস্ট অ্যান্ড ফার্মাসিস্ট সমিতির সম্পাদক হাফিজুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ছেলেটিকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে; মারধর করা হয়নি।”
এর আগেও ছেলেটি বিভিন্ন দোকানে ওষুধ কিনতে গিয়ে চুরি করেছে বলে দাবি করেন তিনি।