এম ইসলাম সুজন,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥
নীলফামারীর ডিমলায় রোববার ভোর রাতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে হতে রক্ষা পেয়েছে আরও
এক ৮ম শ্রেনীর কিশোরী। রান্না হয়েছে, সব কাজ সম্পন্ন আসবে শুধু বরযাত্রী এমন সময়
বিয়ের বাড়ীতে পুলিশ নিয়ে হাজির হন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্র্যাম্যমান
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. নাজমুন নাহার। রোববার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে
খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ীতে। বাল্যবিবাহ বন্ধ হওয়া ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী ইতি আক্তার
নাউতরা ব্রীজেরপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে পড়ে ও একই এলাকার অবিরুল হকের
কন্যা।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে অবশেষে বিয়ের অনুষ্ঠানে বরযাত্রী বর নিয়ে আসেনি। ছাত্রীটির
পিতা মাতা স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে অঙ্গীকার নামা লিখে দেয় মেয়ের বাল্যবিবাহ দিবে
না মর্মে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্র্যাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা.
নাজমুন নাহার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর রাতে গিয়ে ৮ম শ্রেনীর বাল্যবিবাহ বন্ধ
করা হয়েছে। ছাত্রীটির পিতা বাল্যবিবাহ দিবে না মর্মে সকলের উপস্থিতিতে অঙ্গীকার নামা
লিখে দেন। তিনি আরও বলেন, ডিমলা উপজেলা বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে প্রশাসন সর্বাত্বক চেষ্টা
করবে। এ সময় ডিমলা থানার এসআই আতিকুর রহমান,ছাত্রীটির বড় বোন রোকসানা বেগম,
চাচা মোতালেব হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্যঃ গত শুক্রবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উপজেলার খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে ৫ম
শ্রেনীর এক ছাত্রী বাল্যবিয়ে হতে রক্ষা পায় ।